ট্যান দূর হবে হেঁশেলের জরুরি উপাদান দিয়েই। ছবি: শাটারস্টক
পুষ্টিবিদদের মতে, চিনি খেলেই শরীরে বাসা বাঁধবে নানা রোগব্যাধি। তবে মনকে বোঝানো বড়ই মুশকিল। মিষ্টি দেখলেই আর লোভ সামলানো যায় না। অনেকেই মনে করেন চিনি ছাড়া চা, কফি খাওয়ার চেয়ে না খাওয়াই ভাল! স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ইদানীং সাদা চিনির পরিবর্তে বাদামি চিনি ব্যবহার করছেন। তাতে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে কি না বলা মুশকিল, তবে এই চিনি কিন্তু রূপচর্চার ক্ষেত্রে দারুণ উপকারী!
ত্বকের পরিচর্যায় কী ভাবে বাদামি চিনির ব্যবহার করবেন?
১) ত্বকের মরা কোষ দূর করতে
জেল্লাহীন ত্বকের অন্যতম কারণ হল ত্বকের উপর মরা কোষের স্তর। বাদামি চিনিতে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানটি ত্বককে গভীর ভাবে পরিষ্কার করে মরা কোষগুলি দূর করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ নারকেল তেল সামান্য গরম করে তার সঙ্গে দু’চা চামচ বাদামি চিনি মিশিয়ে মুখে স্ক্রাব করুন। হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মরা চামড়া উঠে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
২) ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে
জেল্লাহীন ত্বককে উজ্জ্বল করতেও এই উপাদানটির জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে বাদামি চিনি। অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক চামচ চিনি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। হালকা গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে আলতো করে মুখ মুছে ফেলুন।
চিনিতে থাকা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ছবি: শাটারস্টক
৩) ট্যান দূর করতে
গরমে সূর্যের প্রখর তাপে বেরোলেই ত্বকে ট্যান পড়ে। নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করলেও লাভের লাভ কিছুই হয় না। এ ক্ষেত্রে রোদ থেকে বাড়ি ফিরে টম্যাটো দু’টুকরো করে তাতে বাদামি চিনি লাগিয়ে মুখে ঘষে নিন। ত্বকের ট্যান দূর হবে। এতে উপস্থিত গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
৪) ঠোঁট ফাটার সমস্যায়
কেবল শীতকালেই নয়, এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা সারা বছর ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন। বাদামি চিনি ও বিটের রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ঠোঁটে মালিশ করুন। হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ফাটা কমে ঠোঁট নরম তো হবেই, লাল রংও ধরে রাখবে বিটের রস।