ছবি: সংগৃহীত।
কাজ থেকে ফিরে মাঝেমধ্যে ক্যামোমাইল চায়ে চুমুক দেন। ঋতুস্রাবের কষ্টে আরাম পেতে এই পানীয়ে চুমুক দেন মহিলারা। তবে ক্যামোমাইল চা দিয়ে যে ত্বকের চর্চা করা যায়, সে কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। ক্যামোমাইল হল বিশেষ এক ধরনের ভেষজ। যার ফুলটিকে শুকিয়ে আয়ুর্বেদে ঔষধি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রূপচর্চাশিল্পীরা বলছেন, এই ভেষজ দিয়ে তৈরি চা খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকের ধরন এবং সমস্যা অনুযায়ী ক্যামোমাইল ব্যবহার করতে পারলে উপকার মিলবে।
ক্যামোমাইলে এমন কী কী গুণ রয়েছে?
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ভরপুর ক্যামোমাইল। যা ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এই ভেষজ বেশ কাজের।
ক্যামোমাইল ত্বকের কী উপকার করে?
১) ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ক্যামোমাইল এমন একটি ভেষজ, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক শুষ্ক এবং স্পর্শকাতর,তাঁদের জন্য ক্যামোমাইল অত্যন্ত উপকারী।
২) ক্যামোমাইলে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায়, তা ত্বকে ব্রণের বাড়বাড়ন্ত রোধ করতে পারে। ২০১৯-এ ‘ইনফরমেটিক্স ইন মেডিসিন আনলক্ড’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে সে কথা বলা হয়েছে।
৩) ব্রণ বা সংক্রমণের কারণে ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হলে তা-ও নিরাময় করতে পারে ক্যামোমাইল। এ ছাড়া চোখের তলায় ফোলা ভাব কিংবা কালচে ছোপ দূর করতেও সাহায্য করে।
ত্বক অনুযায়ী কী ভাবে ক্যামোমাইল ব্যবহার করবেন?
১) ত্বক শুষ্ক হলে ক্যামোমাইল এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ক্যামোমাইল চায়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে মুখে মাখা যেতে পারে।
২) ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে ক্লে-জাতীয় কোনও প্যাক ক্যামোমাইল চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখা যেতে পারে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল বা সেবাম শুষে নিতে তা সাহায্য করে।
৩) ক্যামোমাইল চায়ের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে টোনার হিসাবে মুখে স্প্রে করা যেতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এই টোটকা বেশ কাজের।