কফি ভাল না খারাপ? ছবি: সংগৃহীত।
পানীয় হিসাবে কফি কেমন, তা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। কেউ বলেন, কফি খাওয়া ভাল। আবার কারও মতে, এই পানীয়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে, এ সবই কিন্তু ধারণা। অর্থাৎ, বহু কাল ধরে চলে আসা প্রচলিত কিছু কথা। যার মধ্যে বেশির ভাগই ভুল।
কফির মধ্যে ক্যাফিন রয়েছে। তবে, ক্যাফিনের উৎস শুধু কফি বীজ নয়। বেশ কিছু উদ্ভিদ, ফল, এমনকি গাছের পাতাতেও ক্যাফিন থাকে। তাই কফি খেলেই শরীর খারাপ হবে, এমন ধারণা পুষে রাখার কোনও কারণ নেই।
কফি নিয়ে আর কী কী ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে?
১) কফি খেলে ঘুম চলে যায়:
কফি খেলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বরং কাজের সময়ে ক্লান্তি, ঝিমুনি ভাব কাটাতে সাহায্য করে এই পানীয়। তবে ঘন ঘন কফি খাওয়ার অভ্যাসে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত হতে পারে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সারা দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম কফি খাওয়া একেবারেই নিরাপদ। যাঁদের আগে থেকেই অনিদ্রাজনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দু’ঘণ্টা আগে ক্যাফিন জাতীয় খাবার বা পানীয় খাবেন না।
২) ডিহাইড্রেশনের জন্য দায়ী কফি:
অনেকেই মনে করেন, কফি খেলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। কিন্তু মজার বিষয় হল, কফিতে জলের ভাগ প্রায় ৯৮ শতাংশ। তাই এমন ধারণা যে বাস্তবসম্মত নয়, তা বোঝাই যাচ্ছে।
৩) কফি খেলে মেদ ঝরে:
কফি মেদ ঝরে কি না, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। কিন্তু তেমন কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তবে সারা দিন শারীরিক কসরত করার মতো এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে এই পানীয়।
৪) বেশি কফি খেলে নেশা হয়:
সীমিত পরিমাণে কফি খেলেও আসক্তি জন্মাতে পারে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ক্যাফিন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। তাই নিয়মিত কফি খেলে তার উপর খানিকটা হলেও নির্ভরতা জন্মাতে পারে। তবে তা কখনওই ‘আসক্তি’র পর্যায়ে যাবে না।