হেয়ার বাটারের নাম শুনেছেন, কী ভাবে ব্যবহার করতে হয় জানা আছে কি? ছবি:ফ্রিপিক।
রুক্ষ চুলের পরিচর্যায় কেউ তেল মাসাজ করেন। চুলের যত্নে কেউ বেছে নেন মাস্ক। তবে শীতের মরসুমে আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলা চুলের যত্নে আরও একটি জিনিস কিন্তু কাজে আসতে পারে। হেয়ার বাটার।
অনলাইনে বা দোকানে ঢুঁ মারলে বিভিন্ন সংস্থার বাটার পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি, জিনিসটি আসলে কী? কেমন ভাবেই বা তা মাখতে হয়?
প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি হয় হেয়ার বাটার। বিভিন্ন ধরনের বাটার, যেমন কোকো বাটার, শিয়া বাটার, ম্যাঙ্গো বাটার এবং তেলের মিশ্রণে তৈরি প্রসাধনীটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শুধু রুক্ষ চুলে আর্দ্রতা ফেরানোই নয়, মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগানো, জট পড়া চুল সুন্দর, মসৃণ করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে হেয়ার বাটার।
মাস্ক যেখানে শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে ব্যবহার করা হয়, সেখানে হেয়ার বাটার শুকনো এবং ভেজা— যে কোনও চুলেই মাখা যায়। মূলত চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতাকে ধরে রাখতেই এর ব্যবহার। কেশসজ্জার আগে চুল নরম করতে, ডগা ফাটা, নিষ্প্রাণ চুলে জেল্লা ফেরাতেও এটি উপযোগী।
বাড়িতেও তৈরি করা যায় হেয়ার বাটার?
বাজারে নানা রকম হেয়ার বাটার পাওয়া যায় ঠিকই, তবে চাইলে বাড়িতেও তা বানিয়ে নিতে পারেন।
উপকরণ
দেড় কাপ শিয়া বা কোকো বাটার
২ টেবিল চামচ হেম্প সিড অয়েল
২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল
৫-৬ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল (ল্যাভেন্ডার, রোজ়মেরি)
পদ্ধতি
সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নেওয়ার আগে দেখে নেওয়া দরকার কোকো বা শিয়া বাটার ঘরের তাপমাত্রায় রয়েছে কি না। প্রতিটি উপকরণ খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। জিনিসটি ক্রিমের মতো হয়ে গেলে পরিষ্কার কাচের শিশিতে সংরক্ষণ করে রাখুন। তবে ফ্রিজে রাখবেন না।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১. শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুল ধুয়ে হেয়ার বাটার মাথার ত্বক থেকে চুলে লাগিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করতে হবে। আধ ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে নিন।
২. স্নানের পর ক্রিমের মতো তুলে হেয়ার বাটার মাখতে পারেন। সেটি ধোয়ার দরকার নেই।
৩. শুকনো চুলে বা ভিজে চুলে হেয়ার বাটার লাগিয়ে আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
মনে রাখা প্রয়োজন
হেয়ার বাটার সব সময় পরিষ্কার চুলে ব্যবহার করতে হবে। বাটার মাখার আগে চুল ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিলে ফল পাবেন বেশি।