ঠান্ডায় চুল, মাথার ত্বকের যত্ন নেবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
বছরের শুরুতেই ঠান্ডার কামব্যাক আশা জাগিয়েছে শীতপ্রেমীদের মনে। তবে রুক্ষ বাতাসের দাপটে মাথার ত্বক এবং চুলের প্রবল ক্ষতি হতে পারে বলে কারও কারও মনে ভয়েরও উদ্রেক হচ্ছে। এমনিতে ঠান্ডায় খুশকির সমস্যা হয়। চুল পড়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় মাথার ত্বকে প্রদাহজনিত অস্বস্তিও বৃদ্ধি পায়। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, সমস্যা এড়াতে বাইরে থেকে তেল, শ্যাম্পু মাখলেই হবে না। আরও কয়েকটি বিষয় জেনে রাখতে হবে।
১) ঠান্ডা থেকে বাঁচতে স্কার্ফ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখেন অনেকেই। এই পন্থায় কিন্তু চুল, মাথার ত্বকের ক্ষয়ক্ষতিও রুখে দেওয়া যায়। রুক্ষ বাতাসে মাথার ত্বক এবং চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চুল সহজেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।
২) ঘন ঘন শ্যাম্পু করলেও চুল, মাথার ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়তে পারে। মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতে হলে সপ্তাহে ৩ দিন শ্যাম্পু করাই ভাল। মাথার ত্বকের ধরন, সমস্যা বুঝে একেবারে রাসায়নিকমুক্ত, সালফেট-ফ্রি শ্যাম্পু কিনতে হবে।
৩) শীতে খুশকির সমস্যা বাড়ে। মাথার ত্বকের এই সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে অনেকেই ‘অ্যান্টি-ড্যানড্রফ’ তেল, শ্যাম্পু মাখেন। তবে কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, চুলের প্রসাধনীতে ভিটামিন বি৩ এবং বি৫-এর মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রাখা জরুরি।
৪) ত্বকের মতো চুলের যত্নেও ময়েশ্চারাইজ়ার প্রয়োজন। রুক্ষ, নিষ্প্রাণ চুলকে বশে রাখতে সপ্তাহে অন্তত এক বার ‘ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট’ করা প্রয়োজন। শিয়া বাটার, অ্যালো ভেরা দেওয়া মাস্ক চুল এবং মাথার ত্বকের জন্য ভাল।
৫) শীতের সময়ে গরম জলে স্নান করেন অনেকেই। তবে চুল কিংবা মাথার ত্বকের জন্য খুব গরম জল একেবারেই ভাল নয়। মাথার ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে যেতে পারে কিংবা চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।