নামমাত্র খরচে দামি কন্ডিশনারের মতো ফল পেতে কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে শ্যাম্পু করার পর আবশ্যিক ভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন কেশ নিয়ে চর্চাকারীরা। কারণ, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে কন্ডিশনার। চুল করে তোলে কোমল এবং মসৃণ।
চুলের উপযোগী বাজারচলতি কোনও কন্ডিশনার বেছে নেওয়াই যায়। তবে যদি রাসায়নিকের ব্যবহার এড়াতে চান, তা হলে ঘরোয়া উপকরণে বানিয়ে ফেলতে পারেন কন্ডিশনার। এতে যেমন অর্থ সাশ্রয় হবে, তেমনই প্রাকৃতিক উপকরণে চুল হবে ঘন, সুন্দর এবং মজবুত।
কন্ডিশনারের প্রথম উপাদান
কন্ডিশনার তৈরির জন্য প্রয়োজন ডিমের কুসুম। নতুন চুল গজানো, চুলের বৃদ্ধি ও ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে ডিম। এতে থাকা ভিটামিন এ, ডি এবং কে মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুম হল প্রোটিনের অন্যতম উৎস। এ ছাড়া এতে থাকে ‘বায়োটিন’ নামে একটি উপাদান, যা চুল মজবুত করে। ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।
চুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কেরাটিন নামে এক প্রকার প্রোটিন। ডিমের কুসুম চুলের প্রয়োজনীয় প্রোটিন জোগান দিতে সক্ষম। কুসুমে থাকা ফ্যাট অ্যাসিড চুল কোমল এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
দ্বিতীয় উপাদান
কুসুমের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে অলিভ অয়েল। এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। চুলের গভীরে গিয়ে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সক্ষম তেলটি। ডগা ফাটা, রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে অলিভ অয়েল বিশেষ ভাবে কার্যকর। এই তেলে থাকা প্রদাহনাশক উপাদান চুলকানি বা খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে।
কী ভাবে কন্ডিশনার তৈরি করবেন?
১টি ডিমের কুসুম
২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
১ টেবিল চামচ জল
পদ্ধতি:
ডিম ফাটিয়ে কুসুম আলাদা করে নিন। তার মধ্যে অলিভ অয়েল যোগ করে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। যোগ করুন জল।
আর কী যোগ করা যায়?
চুল যদি খুব বেশি রুক্ষ হয় তা হলে মিশিয়ে নিতে পারেন ১ চা-চামচ মধু। যোগ করতে পারেন ১ টেবিল চামচ নারকেল তেলও।
ব্যবহার বিধি:
প্রথমে চুলে শ্যাম্পু করে নিন। মাথা মুছে ভিজে চুলে মিশ্রণটি খুব ভাল করে লাগিয়ে নিন। মাথায় ‘শাওয়ার ক্যাপ’ বা স্নানের সময় পরার টুপি পরে নিন। এতে মিশ্রণটি ভাল ভাবে চুলের ভিতরে যাবে। পাশাপাশি চুল থেকে মিশ্রণটি চুঁইয়ে এ দিক-ও দিক পড়ে নোংরা হবে না।
সাধারণত বাজারচলতি কন্ডিশনার মিনিট পাঁচেক রাখতে বলা হয়। তবে এটি ভিন্ন। কন্ডিশনার অন্তত ১৫-৩০ মিনিট রাখতে হবে। তার পর ইষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলতে হবে। কুসুমের আঁশটে গন্ধ এড়াতে চাইলে মৃদু শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।