মেহেন্দির অনুষ্ঠানে কিন্তু আলিয়া বেছে নিয়েছিলেন মণীশ মলহোত্রের নকশা করা লেহঙ্গা। ছবি: সংগৃহীত
গত ১৪ এপ্রিল, কপূর পরিবারের বান্দ্রার পৈতৃক বাড়ি ‘বাস্তু’তে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়েছেন রণবীর কপূর ও আলিয়া ভট্ট। মেহেন্দি থেকে শুরু করে বৌভাত— বলিউডের অন্যতম এই চর্চিত বিয়ের সব অনুষ্ঠান বাস্তুতেই সম্পন্ন হয়েছে।‘রণলিয়া’ জুটির বিয়ের তারিখ, পোশাক, আচার অনুষ্ঠান সব কিছু নিয়ে অনুরাগীদের কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। বলিউডেরর বেশির ভাগ কনেদের মতো আলিয়াও তাঁর বিয়ের সন্ধেতে সেজে উঠেছিলেন পোশাকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের অরগ্যাঞ্জা শাড়িতে। রণবীরের পরনেও ছিল সব্যসাচীর নকশা করা পোশাকই।
গোলাপি লেহঙ্গা চোলি, খোলা চুল, ‘নো মেকআপ লুক’-এ আলিয়া মন কেড়েছেন বহু অনুরাগীর। ছবি: সংগৃহীত
বিয়েতে সব্যসাচীর পোশাক পরলেও মেহেন্দির অনুষ্ঠানে কিন্তু আলিয়া বেছে নিয়েছিলেন মণীশ মলহোত্রের নকশা করা লেহঙ্গা। ফুশিয়া রঙের লেহঙ্গা-চোলিতে সেজে উঠেছিলেন আলিয়া। গলায় ছিল বড়সড় পোলকি পাথরের চোকার। হাতে ফুলের মালা। কপালে মাঙ্গটিকা। সত্যিকারের সোনার জরি এবং প্যাচওয়ার্ককরা হাতে বোনা এই লেহঙ্গাতে রয়েছে বেনারসী ব্রোকেড, বাঁধানি, জ্যাকোয়ার্ডের কারুকাজ। আলিয়ার মেহেন্দির লেহঙ্গা জুড়ে ছিল নকশি কাঁথার ছোঁয়াও। কিন্তু হাতে বোনা এই লেহঙ্গা তৈরি করার পিছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। জানেন কত ঘণ্টা সময় লেগেছে এই লেহঙ্গা বুনতে? এর হস্তশিল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০০০ ঘণ্টা। বিয়ের সাজের মতো মেহেন্দির অনুষ্ঠানেও খুবই ছিমছাম সেজেছিলেন আলিয়া। তবুও গোলাপি লেহঙ্গা চোলি, খোলা চুল, ‘নো মেকআপ লুক’-এ আলিয়া মন কেড়েছেন বহু অনুরাগীর।