ত্বকের সমস্যার সমাধান ঘরোয়া টোনারেই! ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষা মানেই ত্বকের হাজার সমস্যা। প্রবল ঘামে তেলচিটে হয়ে যায় মুখ। তার উপর ধুলো-ময়লা জমে মুখ কালচে হয়ে যায়। কারও আবার ব্রণের সমস্যা তো থাকেই! ত্বক তেলতেলে হয়ে গেলে সংক্রমণও বেড়ে যায়। আচমকা হয়তো দেখলেন, ত্বকের কোনও অংশে হালকা ব্যথা। একটু পরেই দেখা যাবে সেখানে বড় একটি ফুসকুড়ি উঠেছে। কিন্তু এর থেকে মুক্তির উপায় কী! ক্নিনজ়িং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজ়িং যে কোনও মরসুমেই জরুরি। কিন্তু মরসুম ও ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী উপকরণে বদল দরকার। বর্ষায় ত্বকের সমস্যার সমাধান করতে পারে ঘরোয়া টোনার।
পুদিনা
পুদিনার মিষ্টি গন্ধ মনকে তরতাজা করে তোলে। এতে থাকে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ দূর করতে পুদিনা বিশেষ কার্যকর। ত্বকের যত্নে পুদিনা খুবই উপযোগী। তাই বর্ষায় র্যাশ, ফুসকুড়ি ও ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি টোনার ব্যবহার করুন। বাজারচলতি নয়, বরং পুদিনা পাতা ধুয়ে জলে ১৫-২০ মিনিট ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। জল ঠান্ডা হলে স্প্রে বোতল ভরে ব্যবহার করুন। রাস্তায় বেরিয়ে মুখ তেলতেলে হয়ে গেলে, স্প্রে বোতল থেকে কিছুটা পুদিনা টোনার মুখে দিয়ে তুলো দিয়ে মুছে নিতে পারেন। বা তুলো ছাড়াও পুদিনা টোনার মুখে সরাসরি স্প্রে করে নিতে পারেন।
কর্পূর ও গোলাপজল
গোলাপজল শুষ্ক, তৈলাক্ত যে কোনও ত্বকের জন্যেই টোনার হিসাবে বহুল ব্যবহৃত। তবে মুখে ব্রণ বা র্যাশের সমস্যা হলে গোলাপজলের সঙ্গে সামান্য একটু কপূর্রের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। কর্পূর সংক্রমণ রোধে বিশেষ কার্যকর। ব্রণ থেকে এগ্জ়িমা, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় কর্পূর ব্যবহারের চল রয়েছে। এমনকি কালচে ভাব দূর করতেও কর্পূর সাহায্য করে।
নিম টোনার
ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ নিমে রয়েছে ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ দূর করার উপাদান। নিমে এমন অসংখ্য উপাদান রয়েছে, যা প্রদাহনাশক। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ধুয়ে রাখা নিম পাতা জলে ফুটিয়ে টোনার তৈরি করে নিন। স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন ব্যবহারের সুবিধার জন্য। ঘরে মুখ পরিষ্কার করার পর নিম টোনার অবশ্যই ব্যবহার করুন। বিশেষত বর্ষার মরসুমে। গ্রীষ্মেও মুখে ফুসকুড়ি, ব্রণ হয়। এই ধরনের সমস্যা হলে নিম টোনার আদর্শ।