চিনি ছাড়া মিষ্টির জন্য আর কোন কোন জিনিস ব্যবহার করতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। বিশেষত সাদা চিনি। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন চিনি তাঁদের জন্য অন্যতম শত্রু। তবে শরীরের জন্য শর্করার প্রয়োজন নেই, এমনটা কিন্তু মোটও নয়। তা ছাড়া, চিনির ব্যবহার হয় স্বাদের জন্য। যেমন চা থেকে দুধ, কিংবা কোনও কোনও সব্জি, মিষ্টি তার স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতন হলে কী করবেন? জীবন থেকে চিনি পাকাপাকি বাদ দেবেন? বদলে বরং এমন কিছু খাবার ব্যবহার করতে পারেন, যার মধ্যে প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব রয়েছে।
গুড়
তাল ও আখের রস থেকে গুড় তৈরি হয়। আয়রণ, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ গুড়ে রয়েছে স্বাভাবিক মিষ্টত্ব। চিনির বদলে গুড়ের ব্যবহারের খাবারের স্বাদ ও গুণ দুই-ই বৃদ্ধি পায়। চা থেকে দুধ, চিনির বদলে গুড় খাওয়া অভ্যাস করতে পারেন। তবে তাই বলে যথেচ্ছ পরিমাণ নয়। গুড়ের ব্যবহারও যেন সীমিতই হয়।
মধু
চিনির বদলে ব্যবহার করতে পারেন মধু। চিনির বদলে মধুর ব্যবহার হয় বিদেশের বিভিন্ন খাবারেও। অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, খনিজ ও ভিটামিনে ভরপুর মধু সর্দি-কাশিতেও দারুণ কাজ দেয়। দুধ থেকে স্মুদি-সহ যে কোনও খাবারে মিষ্টির স্বাদ পূরণে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
খেজুর
ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিনে ভরপুর খেজুরের উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। প্রতি দিন অন্তত একটি করে খেজুর খেলে শরীর ভাল থাকে। দ্রুত শক্তির প্রয়োজন হলে একটা খেজুর চিবিয়ে খেয়ে নিলেই হল। খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব। চিনির বদলে খেজুর বেটে দুধ বা স্মুদিতে ব্যবহার করতে পারেন। খেজুর দিয়ে চাটনিও করতে পারেন। চাটনিতে চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল হবে।
নারকেলের চিনি
নারকেল থেকে এক ধরনের গুঁড়ো চিনি তৈরি হয়। নারকেল গাছের ফুল থেকে তরল সংগ্রহ করা হয়। তা দিয়েই বাদামি রঙের চিনি পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাদা দানাদার চিনির বদলে নারকেলের গুঁড়ো চিনি ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের চিনিতে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন-সহ বিভিন্ন খনিজ থাকে।
শুকনো ডুমুর
ডায়াবিটিস রোগীদের চিনি খাওয়া বারণ। তবে শুকনো ডুমুর ভিজিয়ে খেলে অনেক উপকার হয়। শুকনো ডুমুর আঞ্জির নামেও পরিচিত। এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও প্রয়োজনীয় খনিজ। খাবারে মিষ্টি স্বাদ আনতে চাইলে আঞ্জির জলে ভিজিয়ে বেটে তা মিশিয়ে নিতে পারেন।