ব্ল্যাকহেডস দূর হবে নিমেষে। ছবি: সংগৃহীত।
ব্রণ, র্যাশ তো রয়েছেই, তবে এর পরে ত্বকের যেটা সবচেয়ে বেশি উঁকি মারে, তা হল ব্ল্যাকহেড্স। ত্বকের অতিরিক্ত তেল, মৃত কোষ, ধুলোবালি ত্বকের উপর জমতে শুরু করে। এর ফলে নাকের দু’পাশে, থুতনিতে কালো বিন্দুর মতো সূক্ষ্ম ভাবে ফুটে ওঠে। দিনের পর দিন এই ব্ল্যাকহেড্স নাকের বা থুতনির উন্মুক্ত রন্ধ্রের উপর জমতে থাকলে তা দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। তা ছাড়া দাগছোপহীন, নিটোল ত্বকে অবাঞ্ছিত কিছু থাকাও কাম্য নয়। ব্ল্যাকহে়ড্স দূর করতে ঘন ঘন পার্লারে না গিয়ে, বরং ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া টোটকায়।
ডিম
তৈলাক্ত ত্বকে ময়লা আটকে থাকে সহজে। তাই ব্ল্যাকহেডসের সমস্যাও এই ধরনের ত্বকে বেশি হয়। ডিমের সাদা অংশ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ব্ল্যাকহেডসের জায়গায় মাখিয়ে রাখলে সমস্যা কমবে।
টম্যাটো
প্রাকৃতিক ট্যান নিরোধক হিসেবে টম্যাটোর নাম আছে। প্রতি দিন রোদ থেকে ফিরে এক টুকরো টম্যাটো ব্ল্যাকহেডসের জায়গায় ঘষুন। ট্যান যেমন কমবে, তেমনই কালচে দাগও সহজেই দূর হবে। ব্ল্যাকহেডস্ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।
অ্যালো ভেরা জেল মুখে বা ত্বকে মাখলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা অনেকটাই কম থাকবে। ছবি: সংগৃহীত।
অ্যালো ভেরা জেল
ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করতে ও ত্বককে রুক্ষ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে বিশেষ কাজে আসে অ্যালো ভেরা। বাজারচলতি অ্যালো ভেরায় ভরসা রাখতে না চাইলে বাড়িতেই অ্যালোভেরার গাছ লাগাতে পারেন। এর জেল মুখে বা ত্বকে মাখলে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা অনেকটাই কম থাকবে।
গ্রিন টি
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই উপাদান ত্বকের পক্ষেও খুব উপকারী। জলে গ্রিন টি মিশিয়ে, সেই মিশ্রণ দিয়ে রোজ ঘুমনোর আগে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকে বলিরেখা কমবে, সঙ্গে দূর হবে ব্ল্যাকহেডস।