ঠোঁটের কালচে দাগ তুলতে কী করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
শীত আসার আগে থেকেই ঠোঁট ফাটার সমস্যা শুরু হয়েছে। রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে ত্বক। শুধু দেহের চামড়াই রোদে পুড়ে যায় না। ঠোঁটেও একই ভাবে ‘সানবার্ন’ হয়। অতিবেগনি রশ্মি থেকে তাই ঠোঁটকে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন লাগাতে হয় শীতের সময়েও। ধূমপানের অভ্যাসও কালো ঠোঁটের একটা বড় কারণ। সিগারেটের নিকোটিন ঠোঁটকে বিবর্ণ করে তোলে। তাই ঠোঁট ভাল রাখতে বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। মেকআপ তোলার সময়ও আমরা ঠোঁটের দিকে খুব একটা নজর দিই না। এতেও ঠোঁটের ক্ষতি হয়। অনেক ক্ষণ মেকআপ বসে ঠোঁটকে কালো করে।
ঠোঁটের ত্বক খুবই পাতলা হওয়ায় দরুণ খুব দ্রুত তা শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। ঠোঁটকে ভাল রাখতে প্রতিনিয়ত মৃত কোষ দূর করতে হবে। বাজারে নানা ধরনের লিপস্ক্রাব কিনতে পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু প্রাকৃতিক জিনিসের কোনও বিকল্প নেই। বিশেষ করে তা যদি বাড়িতে নিজের হাতে বানানো হয়। তাই অল্প গরম জলে একটু মধু ফেলে ঘষুন ঠোঁটে। মধু প্রাকৃতিক ভাবেই ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে। স্ক্রাবারেরও কাজ করে। মুখ পরিষ্কার করার সময় কোনও নরম তোয়ালে দিয়ে প্রতি দিন ঠোঁট ঘষুন। এতে মৃত কোষের আস্তরণ উঠে আসবে। এর পর দুধের সর লাগিয়ে রাখতে পারেন। রাতে আমন্ড অয়েল বা আমন্ড ক্রিম লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পর দিন মুখ ধুয়ে লিপবাম লাগান।
যে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করেন তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস বা গোলাপের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে এসপিএফযুক্ত লিপবাম ব্যবহার করাও জরুরি।
সম পরিমাণ অলিভ তেল আর কফি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। ঠোঁটে লাগিয়ে খানিক ক্ষণ আলতো মালিশ করুন। তার পর তিন থেকে চার মিনিট রেখে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণও ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনবে।