চুল ভাল রাখতে কী কী নিয়ম মানবেন, তারকারাও মেনে চলেন। ছবি: ফ্রিপিক।
সামনেই দীপাবলি, ভাইফোঁটা। এর পরেও নভেম্বর-ডিসেম্বর জুড়ে অনুষ্ঠান-পার্টি লেগেই থাকবে। কাজেই নিত্য নতুন কেশসজ্জাও করবেন। আর এর ফলে চুলেরও বারোটা বেজে যাবে। দারুণ পোশাক, দুর্দান্ত মেকআপ সত্ত্বেও চুলের কায়দা যদি ঠিকঠাক না হয়, তা হলে সাজটাই মাটি হয়ে যায়। কিন্তু কেশসজ্জাও যদি সঠিক ভাবে না করতে পারেন এবং চুলের যত্ন না নেন, তা হলেই চুল উঠতে শুরু করবে গোছা গোছা। খেয়াল করে দেখবেন দীপিকা, আলিয়া বা কৃতী শ্যাননের মতো তারকারা নিত্য নতুন কেশসজ্জা করেন। এই পনিটেল করছেন, তো পরক্ষণেই চুল ঢেউখেলানো। বিভিন্ন রকম ভাবে চুলও বাঁধছেন। তবে তার পরেও তাঁদের চুল নরম, ঝলমলে ও জেল্লাদার থাকছে। তাই এমন কী কী নিয়ম মেনে চলবেন যাতে কেশসজ্জাও হবে আবার চুলের স্বাস্থ্যও খারাপ হবে না, তা জেনে রাখুন।
কেশসজ্জার সময়ে কী কী ভুল করবেন না?
১) পনিটেল বা টপনট যাই বাঁধুন, খুব কষে বাঁধবেন না। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। চুল ঝরেও যায় সহজে।
২) গরম রোলার বা স্ট্রেটনিং আয়রন ব্যবহার ব্যবহার না করাই ভাল। প্রায়ই যদি চুলে রোলার চালাতে থাকেন, তা হলে চুলের বারোটা বেজে যাবে। চুল যেমন রুক্ষ-খসখসে হয়ে যাবে, তেমনই চুল ঝরাও শুরু হবে।
৩) খুব বেসি আর্দ্রতায় চুল নষ্ট হয়। তাই এমন জায়গায় চুল বাঁধবেন না, যেখানকার পরিবেশ আর্দ্র। বৃষ্টির সময়ে চুল খোলা রেখে স্টাইল করতে যাবেন না। এতে চুল নষ্ট হয়ে যাবে। খোলামেলা জায়গা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেই কেশসজ্জা করলে ভাল হয়।
৪) চুল আঁচড়ানোর সময় তাড়াহুড়ো করবেন না, ধীরে ধীরে চুলের জট ছাড়িয়ে আঁচড়ে নিন। এতে চুল কম পড়বে।
৫) কেশসজ্জার সময়ে খুব বেশিমাত্রায় প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। হেয়ার জেল, ওয়াক্স, স্প্রে বা মুজ়ের মতো প্রসাধনীতে খুব বেশি পরিমাণে রাসায়নিক থাকে যা চুলের ক্ষতি করে। ক্রমাগত ব্যবহার করলে চুল শুষ্ক আর নিষ্প্রাণ হয়ে যায়।
৬) চুলে ঘন ঘন রং করা বা হাইলাইট করা থেকে বিরত থাকুন। বাজারচলতি রঙের রাসায়নিক চুলের স্বাভাবিক রং নষ্ট করে দেবে। ফলে অকালেই চুল পাকতে শুরু করবে।