ঊরুতে ফোঁড়া খুবই কষ্টকর, সারিয়ে ফেলুন ঘরোয়া উপায়েই। ছবি: ফ্রিপিক।
ফোঁড়া বড়ই কষ্টকর। যে কোনও ফোঁড়ার কারণই হল জীবাণুর সংক্রমণ। তা ছাড়া সিন্থেটিক জামাকাপড় বেশি পরলে বা খুব বেশি ঘামলে, তখন ফোঁড়া হতে দেখা যায় অনেকের। যেখানে অতিরিক্ত ঘাম হয়, সেই স্থানগুলিতেই রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে গিয়ে ফোঁড়া হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর ঊরুর ভিতরের অংশে ফোঁড়া মানে তা খুবই কষ্টকর। হাঁটাচলার সময়ে ঘষা লেগে যন্ত্রণা আরও বাড়ে। ডায়াবিটিস, ক্যানসার কিংবা কিডনির কোনও ক্রনিক সমস্যা থাকলেও ঘন ঘন ফোঁড়া হওয়ার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ঊরুতে ফোঁড়া হলে তা খুব তাড়াতাড়ি বড় হতে থাকে। ফোঁড়া ফেটে পুঁজ বা রক্তও বেরোয় অনেকের। ফোঁড়ার চারপাশে লালচে র্যাশ হয়। তাই তাড়াতাড়ি না সারাতে পারলে জামাকাপড়ে ঘষা লেগে তা আরও ছড়াতে থাকে। যন্ত্রণাও বাড়ে।
ঊরুতে ফোঁড়া হলে তা সারানোর উপায় কী? প্রতীকী ছবি।
ঊরুতে ফোঁড়া হলে সারবে কী ভাবে?
টি ট্রি তেল
এই তেলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ আছে। ফোঁড়ার জায়গায় ও তার চারপাশের ত্বকে হালকা করে টি ট্রি তেল লাগিয়ে রাখলে যন্ত্রণা তাড়াতাড়ি কমে যাবে। ফোঁড়ার জায়গায় চুলকানি বা প্রদাহও কমবে।
গরম সেঁক
খুব বাড়বাড়ি না হলে বাড়িতে সাধারণ গরম সেঁক দিয়েই ফোঁড়ার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। ফোঁড়ার মুখে কিংবা চারপাশে গরম সেঁক দিলে সেখানে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। ফোঁড়ার ভিতর জমে থাকা পুঁজ বেরিয়ে গেলে তা শুকিয়েও যায় তাড়াতাড়ি।
হলুদ
হলুদ অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ফোঁড়া সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ঈষদুষ্ণ দুধ কিংবা জলের সঙ্গে সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এ বার ফোঁড়ার উপর তার প্রলেপ দিয়ে রাখুন। কিছু ক্ষণ পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আপেল সাইডার ভিনিগার
একটি তুলোতে ভিনিগার মাখিয়ে ফোঁড়ার জায়গায় লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তার পর পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলুন। আপেল সাইডার ভিনিগার জীবাণু সংক্রমণ দূর করতে পারে। ক্ষতের জায়গার পিএইচের ভারসাম্যও বজায় রাখে।
নিম
ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত যে কোনও ধরনের সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে পারে নিম। জলে নিমপাতা ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করে কিংবা নিমপাতা বেটে ফোঁড়ার উপর তার প্রলেপ লাগিয়ে রাখলেও উপকার পেতে পারেন।