টাকা বাঁচুক, টাক নয়। ছবি- সংগৃহীত
অল্প বয়স থেকেই চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। বয়স ৩০ পেরোতে না পেরোতেই শুরু হয়ে যায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ‘ফ্ল্যাশব্যাক’-এ নিজের পুরনো ছবি মনে করে হীনমন্যতায় ভোগা। অথচ, চুলের যত্নে নানা রকমের তেল, শ্যাম্পু, সিরাম কিছুই বাদ দেননি।
চুলের যত্ন মানে শুধু তেল মাখা এবং নামী-দামি শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ব্যবহার করাই নয়, খেয়াল রাখতে হবে খাওয়াদাওয়া নিয়েও। ত্বক ভাল রাখতে যেমন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন হয়, তেমনই চুলের পুষ্টির দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। নিয়মিত উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, নানা রকম সামগ্রী চুলে ব্যবহার করেও লাভ হবে না। শুধু শুধু খরচ বাড়বে।
চুল ঝরা কমাতে এবং টাক পড়া থেকে বাঁচতে ডায়েট থেকে বাদ দিতেই হবে কিছু খাবার, সেগুলি কী কী?
১) ময়দা
সাদা, গরম, ফুলকো লুচি ছাড়া রবিবার সকালটা যেন শুরুই হতে চায় না। তার পর সপ্তাহের মধ্যিখানে যদি কোনও পুজো-পার্বণ পড়ে যায়, তা হলে তো আর কথাই নেই। এই ময়দাও কিন্তু আপনার টাক পড়ার আরও একটি কারণ। ময়দায় থাকা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা ‘জিআই’ শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে চুল ঝরে যাওয়া আরও বেড়ে যায়। তবে কেবল লুচি বা পরোটা নয়, খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে পাউরুটি, কেক, কুকিজ়, বিস্কুট এবং পিৎজার রুটিও।
অতিরিক্ত চিনি শরীরে গেলে, তা চুল উঠে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
২) চিনি
অনেকেরই অতিরিক্ত মিষ্টি বা খাবারে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। এই অতিরিক্ত চিনি চুল উঠে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে। তাই মিষ্টি খেতে ভাল লাগলেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৩) মদ
জাগতিক সব অনুভূতি থেকে কিছু ক্ষণের জন্য বিরতি নিতে, অনেকেই এই সুখসায়রে ভেসে যান। সাময়িক বিরতির ঘোর কাটলেও, দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাস আপনার চুলের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। পরিমিত মদ্যপান করলেও কিন্তু চুলের ফলিকল নষ্ট হতে পারে। অ্যালকোহল চুলে থাকা প্রাকৃতিক প্রোটিন ‘কেরাটিন’ নষ্ট করে। ফলে চুল রুক্ষ এবং দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
৪) ভাজাভুজি
চপ-শিঙাড়া, এগরোল, চিপ্স, বার্গার, লুচি, পরোটা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো খাবার যাঁরা বেশি খান, তাঁদের চুলের অবস্থা খুব বেশি দিন ভাল থাকার সম্ভাবনা কম। বেশি তেল, নুন বা ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার যত কম খাবেন, তত চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।