মূলত প্রাণীজ প্রটিন কোলাজেনের ভাল উৎস। ছবি: সংগৃহীত
ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় কোলাজেন নামক প্রোটিনের ভূমিকা অনেকটা।ত্বকের জেল্লা বাড়ানো থেকে চুলের গোড়া মজবুত করা সবেতেই প্রয়োজন হয় এই প্রোটিনের। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি শুরু হয়। তাছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, দূষণ, ধূমপানের অভ্যাস এই প্রোটিন উৎপাদনের হার আরও কমিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ, অকালেই চেহারায় বয়েসের ছাপ পড়ে, চামড়া ঝুলে যায় ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যায়।
খাদ্যাভাসে বদল এনে শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। ত্বক ও চুল তরতাজা রাখতে কী খাবেন ভাবছেন? মূলত প্রাণীজ প্রটিন কোলাজেনের ভাল উৎস। এমন কিছু শাকসব্জিও আছে যা শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। রইল তার হদিশ।
১) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, টফু, কটেজ চিজ, মাছ, দুধ ইত্যদি শরীরে খেলে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বেড়ে যায়।
প্রতীকী ছবি
২) জিঙ্ক: শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করতে জিঙ্কেরও প্রয়োজন রয়েছে। এটি কোলাজেন প্রোটিন ধ্বংস হতে বাঁধা দেয়। খাদ্যতালিকায় কুমড়োর বীজ, কাজুবাদাম, দুগ্ধজাতীয় খাবার রাখতে পারেন। এগুলিতে ভরপুর মাত্রায় জিঙ্ক থাকে।
৩) ম্যাঙ্গানিজ: শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচকগুলির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ম্যাঙ্গানিজ। গোটা শস্য , বাদাম, ব্রাউন রাইস, সবুজ শাকসব্জিতে ভরপুর মাত্রায় থাকে। তাই খাদ্যতালিকাই এই খাবারগুলি রাখতেই হবে।
৪) ভিটামিন সি: কোলাজেন উৎপাদনে এই ভিটামিনও বেশ উপকারী। ত্বক ও চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টটির জুড়ি মেলা ভার। তাই ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে টক জাতীয় ফল, পেঁপে, টমেটো, লাল ও হলুদ বেলপেপার ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে।