ত্বকে ব্রণর সমস্যা থাকলে কিংবা ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে ঘি ব্যবহার না করাই ভাল। ছবি: সংগৃহীত
সুস্বাস্থ্য পেতে ঘিয়ের ব্যবহার সেই প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। রান্নাবান্না থেকে হোমযজ্ঞ— ঘিয়ের ব্যবহার সবেতেই। তবে জানেন কি রূপচর্চাতেও ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। ঘিয়ে থাকে ভিটামিন এ, ডি এবং ই— যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভীষণ উপকারী। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও ঘিয়ের ব্যবহার করা যেতে পারে। এর নিয়মিত ব্যবহারে বয়সজনিত কারণে ত্বকে যে সমস্যাগুলি হয়, সেগুলি থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে ত্বকে ব্রণর সমস্যা থাকলে কিংবা ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে ঘি ব্যবহার না করাই ভাল।
জেনে নিন কোন উপায়ে ঘি ব্যবহার করলে সুফল পাবেন বেশি?
ত্বকের জেল্লা ফেরাতে: বেসন ও ঘি সমপরিমাণ নিয়ে তাতে এক চামচ কাঁচা দুধ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে দু’ থেকে তিন বার মুখে লাগালে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসবে। বেসন মুখের গর্ত বা ‘ওপেন পোরস’এ জমে থাকা ময়লা দূর করতে ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে।
বলিরেখা দূর করতে: এক চামচ মধু ও এক চামচ ঘি ভাল করে মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। মিশ্রণটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। মধু ও ঘিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের বলিরেখা কমাতে ও চোখের নীচে কালো কালি দূর করতে দারুণ কাজ করে। ঘিতে থাকা ভিটামিন ই ত্বক টানটান করে।
প্রতীকী ছবি
ঠোঁট ফাটার সমস্যায়: শীত হোক কিংবা গরমকাল অনেকেই সারা বছর ধরে ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন। ঘিয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ স্ক্রাব করুন। তার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। নিয়মিত এই পন্থা মেনে চললে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হবে।
ট্যান দূর করতে: গরমে রোদে বেরোলেই মুখের সঙ্গে সঙ্গে হাতে পায়েও ট্যান পড়ে। এ ক্ষেত্রেও ঘি দিয়েই হতে পারে মুশকিল আসান। ঘিয়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণ মুখে এবং গা-হাত পায়ে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে এই মিশ্রণ দারুণ কার্যকর।