চোখের নীচের দাগছোপ মুছে যাক। ছবি: সংগৃহীত।
ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে পুজো। সপ্তাহখানেক পরেই উৎসবে মাতবে বাঙালি। তার আগে সাজগোজের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ফেশিয়াল থেকে হেয়ার স্পা— নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর প্রায় সকলেই। কিন্তু আয়নার সামনে গেলেই বুকের মধ্যে ছ্যাঁত করে উঠছে। রাত জেগে সিনেমা দেখে চোখের নীচে কালো দাগের রেখা। মেকআপের আড়ালেও সেই দাগ আড়াল করার কোনও জায়গা নেই। এ দিকে হাতে সময় একেবারেই নেই। তা ছাড়া কাজের চাপে নিয়ম মেনে ফেসপ্যাক, প্রসাধনী ব্যবহারেরও সুযোগও কম। তা হলে উপায়? পুজোয় কি চোখের নীচের কালো দাগ সঙ্গী হবে? পুজো বছরে এক বারই আসে। তাই পুজোর সাজে কোনও খামতি রাখা যাবে না। ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় না থাকলে কয়েকটি খাবার খেতে শুরু করে দিন। ষষ্ঠীর আগেই চোখের নীচের দাগছোপ দূর হয়ে যাবে।
শসা
শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল। ত্বক আর্দ্রতা হারালেই সাধারণত নানা দাগছোপ দেখা দিতে শুরু করে। তাই ত্বক যাতে সু্স্থ এবং সতেজ থাকে, তার জন্য শসা খেতে পারেন। স্যালাডে হোক কিংবা রায়তা বানিয়ে, নিয়ম করে যদি শসা খেতে পারেন, চোখের নীচে সহজে দাগছোপ পড়বে না।
সবুজ শাকসব্জি
ব্রকোলি, ঝিঙে, পটল, কাঁচা পেঁপে— সবুজ শাকসব্জিতে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণের অভাব নেই। শাকসব্জি খেলে শরীর ভাল থাকে তো বটেই, ত্বকের যত্নেও সব্জি খাওয়ার কোনও বিকল্প হয় না। সবুজ শাকসব্জি যত বেশি খাবেন, ত্বকের স্বাস্থ্য তত ভাল থাকবে। চোখের নীচের দাগছোপ থেকে ব্রণ— ত্বক সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে সব্জিতে।
ব্লু বেরি
বেরি-জাতীয় সমস্ত ফলে রয়েছে ভিটামিন কে, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি, ওমেগা ৩-এর মতো উপাদান। এগুলি ত্বকের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে, চোখের নীচের দাগছোপ আটকাতে ব্লু বেরি সত্যিই কার্যকরী।