ইডেনে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে ঋদ্ধিমান সাহাকে। ছবি: সিএবি।
এ বারের রঞ্জির মরসুম শুরু হওয়ার আগেই ঋদ্ধিমান সাহা জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটাই শেষ। আর ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলবেন না। রঞ্জিতে নক আউটে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বাংলার। সুতরাং পঞ্জাবের বিরুদ্ধেই শেষ ম্যাচ খেলে ফেলবেন ঋদ্ধি। ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে জীবনের শেষ ম্যাচে নামার আগে ঋদ্ধিকে সংবর্ধনা দিল বাংলার ক্রিকেট সংস্থা।
বৃহস্পতিবার খেলা শুরু হওয়ার আগে ঋদ্ধিকে সংবর্ধনা দেন বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলা দলের সব ক্রিকেটারের সই করা একটি জার্সি দেওয়া হয় ঋদ্ধিকে। ফুলের তোড়া ও উত্তরীয় দেওয়া হয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে। স্নেহাশিস বলেন, “দুর্দান্ত একটা কেরিয়ার। ঋদ্ধি অনেককে উদ্বুদ্ধ করেছে। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর এত বছর খেলা কম কৃতিত্বের নয়। ওকে অনেক শুভেচ্ছা।” দলের বাকি ক্রিকেটারেরা একে একে জড়িয়ে ধরেন শিলিগুড়ির পাপালিকে।
১৮ বছরের কেরিয়ারে ১২২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ঋদ্ধি। করেছেন ৬৪২৩ রান। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ২০৩। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩১৩টি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। করেছেন ৩৭টি স্টাম্প। দীর্ঘ দিন বাংলার রঞ্জি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড রয়েছে ঋদ্ধির। মাত্র ২০ বলে এই কীর্তি করেছিলেন তিনি। তবে এক কর্তার সঙ্গে বিবাদের জেরে ২০২২ সালে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা চলে যান ঋদ্ধি। দু’টি মরসুম সেখানে খেলার পরে আবার বাংলায় ফিরে আসেন তিনি।
বাংলার হয়ে ভাল খেলায় জাতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছেন ঋদ্ধিমান। ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট ও ৯টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। টেস্টে ১৩৫৩ রান ও এক দিনের ক্রিকেটে ৪১ রান করেছেন তিনি। টেস্টে ৯২টি ক্যাচ ধরেছেন ঋদ্ধি। করেছেন ১২টি স্টাম্প। এক দিনের ক্রিকেটে ধরেছেন ১৭টি ক্যাচ। একটি স্টাম্প করেছেন। উইকেটের পিছনে তাঁর দুর্দান্ত রিফ্লেক্সের জন্য ঋদ্ধিমানতে সমর্থক ও বিশেষজ্ঞেরা ‘সুপারম্যান’ বলেও ডাকতেন। ২০২১ সালের পর থেকে আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি।