পেঁয়াজের তেল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ছবি- সংগৃহীত
গন্ধটা ভাল না লাগলেও রান্নায়, স্যালাডে পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস আছে। পেঁয়াজের রস যে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে— ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছেন সে কথা। ইদানীং নেটমাধ্যমে ঘোরা ফেরা করার দরুন পেঁয়াজের তেলের কথাও জেনেছেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন না, চুলের জন্য এত রকমের তেল থাকতে হঠাৎ পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করবেন কেন? এই তেল মাখলে আলাদা করে চুলের কী উন্নতি হবে?
চুল পড়া এবং যে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করা ছাড়াও পেঁয়াজের তেলের গুণে চুলের আর কী কী উন্নতি হয় রইল তার সুলুকসন্ধান।
চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে
মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে পেঁয়াজের তেল। পেঁয়াজে থাকা সালফার, চুলের ফলিকলগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে। এ ছাড়াও মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলকে মজবুত করে তোলে।
চুলের জেল্লা বৃদ্ধিতে
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই তেল চুলের জেল্লা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুল রুক্ষ হতে দেয় না।
খুশকি প্রতিরোধে
পেঁয়াজের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-সেপটিক উপাদান, মাথার ত্বকের সংক্রমণ রুখতেও সাহায্য করে। ফলে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
চুল নরম এবং মসৃণ করতে
নিয়মিত পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, ফলে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল হয়। রুক্ষ চুল এবং মাথার শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় অনায়াসেই।
চুলে পাক ধরা কমাতে
পেঁয়াজ থাকা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অকালে চুলের পাক ধরাও রোধ করে।
পেঁয়াজর অস্বস্তিকর গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার, নেরলী, ল্যাং ল্যাং এসেন্সিয়াল অয়েল এই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখতে পারেন।
চুলের জন্য বাড়িতে তৈরি পেঁয়াজের তেল একেবারেই নির্ভরযোগ্য। ছবি- সংগৃহীত
বাজারে বিভিন্ন সংস্থার পেঁয়াজের তেল পাওয়া যায়। তবে, বাড়ির তৈরি তেলে যে হেতু আলাদা কোনও রসায়নিক যোগ করা হয় না, তাই চুলের জন্য এই তেল একেবারেই নির্ভরযোগ্য। বাড়িতে কী ভাবে তৈরি করবেন এই তেল?
রইল সহজ একটি পদ্ধতি—
১) দু-তিনটি পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে, পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে নিন।
২) ছোট ছোট টুকরো করে, ব্লেন্ডারে মিহি করে বেটে নিন।
৩) এ বার কড়াইতে নারকেল তেল গরম করে নিন।
৪) মিহি করে বাটা পেঁয়াজ, ওই তেলের মধ্যে দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঁচ একদম কমিয়ে রাখবেন।
৫) ফুটতে ফুটতে তেলের রং হালকা বাদামি হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
৬) আট-ন’ঘণ্টা ওই অবস্থায় রেখে, ঠান্ডা হতে দিন।
৭) পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে শুকনো, পরিষ্কার ছাঁকনি দিয়ে তেল ছেঁকে, বায়ুরোধী পাত্রের ঢেলে রাখুন।