প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষায় ত্বকের খেয়াল কী ভাবে রাখবেন, সেটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। এ দিকে বর্ষা নামতেই ত্বকের হাল বেহাল হয়ে যায়। তখন নানা সমস্যা এসে দেখা দিতে শুরু করে। ত্বক চিটচিটে হয়ে যাওয়া থেকে ব্রণ— বাদ যায় না কিছুই। বর্ষার মেঘ কাটলে ত্বকেও আবার ঝলমলে ভাব ফিরে আসে। কিন্তু বর্ষার এই কয়েকটি দিন কী ভাবে ত্বকের খেয়াল রাখবেন, শেখাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।
বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছিলেন, ঘরোয়া টোটকায় রূপচর্চা করেন তিনি। বাজারচলতি প্রসাধনী চেষ্টা করেন কম ব্যবহার করার। তবে সারা ক্ষণই মেকআপ করতে হয় বলে, ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতেই পছন্দ করেন তিনি। বিশেষ করে বর্ষাকালে ত্বকের দেখাশোনায় তাঁর একমাত্র ভরসা ঘরোয়া উপকরণ। হেঁশেলে মজুত করা উপাদানই প্রিয়ঙ্কার রূপচর্চার উপকরণ হয়ে ওঠে। এই বর্ষায় ঠোঁটের যত্ন, মাথার ত্বকের খেয়াল আর শরীরের ট্যান তোলার বলে দিলেন প্রিয়ঙ্কা।
শুষ্ক ঠোঁটের যত্ন
বর্ষায় ঠোঁট শুকিয়ে যায়। শুষ্ক ঠোঁটের অস্বস্তি এড়াতে অনেকেই লিপবাম ব্যবহার করেন। তাতে ঠোঁট আরও শুকিয়ে যায়। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা তা করেন না। ঠোঁটের যত্নআত্তি করেন ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করে। গোলাপ জল, গ্লিসারিন আর সৈন্ধব লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে, সেটা দিয়ে ঠোঁটে স্ক্রাবার হিসাবে ব্যবহার করেন অভিনেত্রী।
শরীরের ট্যান
মুখে সানস্ক্রিন মাখলেও, সারা শরীরে সব সময় সানস্ক্রিন লোশন মাখা হয় না। ফলস্বরূপ ট্যান পড়ে যায়। তবে এই ট্যান তোলারও রয়েছে কৌশল। প্রিয়ঙ্কা শরীরের ট্যান দূর করতে বাড়িতেই বানিয়ে নেন বিশেষ প্যাক। টক দই, চন্দনের গুঁড়ো, হলুদ একসঙ্গে পেস্ট করে সেটি ব্যবহার করলেই ট্যান চলে যাবে।
মাথার ত্বকের চিটচিটে ভাব দূর করতে
বর্ষায় বাতাসের আর্দ্রতা এবং ঘাম একসঙ্গে মাথার ত্বক চিটচিটে করে তোলে। ফলে একটানা একটা অস্বস্তি হতেই থাকে। সেই অস্বস্তির অবসান ঘটাতে পারে মধু এবং টক দই। প্রিয়ঙ্কা নিজেও তাই ব্যবহার করেন। দই, মধু, ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করলেই অস্বস্তির অবসান।