ঘরোয়া টোটকায় কি মেচেতার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব? ছবি: শাটারস্টক।
দাগবিহীন ঝকঝকে ত্বক সকলেই চান। এর জন্য অনেকেই সালোঁয় গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচও করেন। নায়িকাদের মতো কোমল ও মোলায়েম ত্বকের জন্য ফেশিয়াল, স্ক্রাবিং, স্টিমিং ট্রিটমেন্ট আরও কত কী করান কেউ কেউ! এত কিছুর পরেও অনেকের ত্বকই বাদামি রঙের ছোট ছোট দাগে দাগে ভরে যায়। নাকের পাশে, গালে, কপালে কালো ছোপ ছোপ মেচেতা বা মেলাসমার দাগ অনেকের কাছেই বড় সমস্যা। তবে মেচেতা ছোঁয়াচে নয়। এমনকি, একে ‘রোগ’-এর তকমাও দেওয়া যায় না।
মেচেতা কেন হয়?
১) নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ বা ইনফার্টিলিটির চিকিৎসার জন্য ওষুধ খেলে মেচেতার ঝুঁকি বাড়ে।
২) শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রায় হেরফের হলে মুখে মেচেতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। রজোনিবৃত্তির পর কিংবা গর্ভাবস্থাতেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
৩) যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে রোদে কাজ করেন সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার না করে, তাঁরাও এই সমস্যায় পড়েন। মুখে মেচেতা পড়ার অন্যতম কারণ হল অতিবেগনি রশ্মি। সূর্যের আলোর মধ্যে থাকা ইউভি-এ এবং ইউভি-বি ত্বকে মেলানিন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে মুখে মেচেতার দাগ পড়তে পারে।
৪) মুখের কালো দাগছোপ তুলতে বহু মহিলাই ব্যবহার করেন স্টেরয়েডজাত ক্রিম। কিন্তু দীর্ঘ দিন এ সব ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি আটকানো মুশকিল।
কী ভাবে মেচেতার দাগ তুলবেন?
১) চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে ডিমেলামাইজ়িং ক্রিম। এ ছাড়া লেজ়ার ট্রিটমেন্ট করেও এই দাগ তোলা যেতে পারে। এই ট্রিটমেন্ট বেশ খরচসাপেক্ষ।
২) এ ছাড়া রূপটানের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললেও দাগ হালকা হতে পারে। তিন-চার চামচ টক দইয়ে একচামচ মধু মিশিয়ে মুখে মাখুন পনেরো থেকে কুড়ি মিনিটের জন্য। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের বদলে অ্যালো ভেরার শাঁস ব্যবহার করতে পারেন।
২) লেবুর রসে চিনি মিশিয়ে মেচেতার দাগের উপর হালকা হাতে ঘষতে হবে, যত ক্ষণ না চিনির দানাগুলি গলে যায়।
৩) অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে তুলো দিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। ২০-৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।