কী ভাবে পাবেন মিমি চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো উজ্জ্বল ত্বক? ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের মধ্যে চিয়া বীজের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ওজন ঝরাতে পুডিং হোক কিংবা স্যালাডের কিংবা লেবু-মধু জলের সঙ্গে এই বীজ খান কেউ কেউ। চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আছে কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ক্যাফিক অ্যাসিড। এ ছাড়াও এই বীজে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবারও থাকে ভরপুর মাত্রায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও চিয়া বীজ দারুণ উপকারী। ফ্যাট কমাতে, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে এবং শরীর চাঙ্গা রাখতেও দারুণ ভাবে সাহায্য করে চিয়া বীজ।
কেবল স্বাস্থ্যরক্ষাই নয়, ত্বকের পরিচর্যাতেও এই বীজের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে এবং কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে এই বীজ। যাঁরা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরাও চিয়া বীজ ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। এ ছাড়া ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও কাজে আসে এই বীজ। চিয়া বীজ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ফেস প্যাক আর তাতেই হবে ত্বকের হাজারটা সমস্যার সমাধান।
দেখে নিন কী ভাবে চিয়া বীজ দিয়ে ফেসপ্যাক বানাবেন?
চিয়া, মধু আর অলিভ অয়েলের প্যাক: চিয়া বীজ অল্প জলে ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এর পর তা জল থেকে তুলে ছেঁকে নিয়ে ওর সঙ্গে মধু আর অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার তা মুখে লাগিয়ে মালিশ করুন। শুকনো হলে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিন। তবে এর পর কিন্তু মুখে এক টুকরো বরফ ঘষে নিতে ভুলবেন না। এতে ত্বকের দাগছোপ দূর হবে, জেল্লাও বাড়বে।
যাঁরা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরাও চিয়া বীজ ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
চিয়া ওট্স আর টক দইয়ের প্যাক: ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে খুব ভাল কাজ করে এই প্যাক। চিয়া বীজ আগে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এর পর তা জল থেকে তুলে নিয়ে ওর সঙ্গে টক দই, ওট্স আর মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে খুব ভাল।