ছবি: সংগৃহীত।
সকালে খালি পেটে ডিটক্স পানীয় খাওয়ার রেওয়াজ নয় নয় করে অনেক দিনই হয়েছে। কেউ উষ্ণ জলে লেবুর রস, মধু মিশিয়ে খান। আবার অনেকেই অনলাইনে হরেক রকম ডিটক্স পানীয় কেনেন। শুধু মেদ ঝরানো নয়, বিপাকহার বৃদ্ধি করতে এবং ত্বক, চুল ভাল রাখতে এই পানীয়গুলি বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডিটক্স পানীয়ের এই তালিকায় সজনেপাতা ভেজানো জলও যোগ করা যায়। প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, জ়িঙ্ক, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো জরুরি বেশ কিছু খনিজ রয়েছে সজনে পাতায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আর অনেক কাজে লাগে।
নিয়মিত সজনেপাতা ভেজানো জল খেলে কী উপকার হবে?
১) ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে সজনেপাতা। এই পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই। যা ত্বকের সেবাম উৎপাদনের হারও নিয়ন্ত্রণ করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও এই পাতাটির ভূমিকা রয়েছে।
২) সজনেপাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখে। তাই ত্বকে চট করে বয়সের ছাপ পড়ে না।
৩) অ্যামাইনো এবং ওলেইক অ্যাসিডে ভরপুর সজনেপাতা ত্বক তো বটেই, চুলের জন্যও ভাল। নিয়মিত খেলে জেল্লা বজায় থাকে।
৪) সজনেপাতায় ভিটামিন সি-এর পরিমাণও বেশি। তাই ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করতেও সাহায্য করে এই ভেষজটি।
সজনেপাতা কী ভাবে খাবেন?
সজনেপাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারেন। এক কাপ জলে আধ চা চামচ সজনেপাতার গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার, সজনেপাতা জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেই পানীয় চায়ের মতো খেতে পারেন।
সজনেপাতা কী ভাবে মাখবেন?
সজনেপাতা মুখেও মাখা যায়। ওটমিলের সঙ্গে সজনেপাতার গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলতে পারেন। এই মিশ্রণ কিন্তু এক্সফোলিয়েটর হিসাবে দারুণ কাজের। আবার, টক দইয়ের সঙ্গে সজনেপাতার গুঁড়ো মিশিয়ে চুলেও মাখতে পারেন। নতুন চুল গজানোর জন্য এই টোটকা দারুণ কাজের।