ছবি: সংগৃহীত।
শুধু ডায়েট করে রোগা হওয়া যায় না। এ কথা এখন হয়তো অনেকেই জানেন। তাই খাবারে রাশ টানার সঙ্গে সঙ্গে অল্পবিস্তর শরীরচর্চাও করেন। সেই কারণেই জিমে ভর্তি হওয়া। তবে রোজ একই রকম ভাবে ঘাম ঝরালে শরীরও খানিক অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই মাঝেমধ্যে বিরতি নিয়ে এক-আধ দিন ‘কার্ডিয়োভাস্কুলার’ এক্সারসাইজ়ও করেন। তবে প্রশিক্ষকেরা ভারী ওজন তোলার আগে ‘ওয়ার্ম আপ’ করার জন্য কার্ডিয়ো করতে বলেন। অনেকে আবার ভারী ওজন তোলার শেষেও এই ধরনের ব্যায়াম করেন। কিন্তু কোনটি শরীরের জন্য বেশি উপকারী?
‘কার্ডিয়োভাস্কুলার অ্যাকটিভিটি’কে সংক্ষেপে বলা হয় কার্ডিয়ো। এ ধরনের ব্যায়াম করলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, শরীরে রক্ত চলাচলও বৃদ্ধি পায়। বিপাকহার বাড়াতে কার্ডিয়োর কোনও জুড়ি নেই। তাই মেদ ঝরাতেও দারুণ উপকারী এই প্রকার ব্যায়াম। তার সঙ্গে শরীরের নমনীয়তা ও পেশির জোর বাড়াতেও এই ব্যায়াম করতে পারেন। তা হলে ভারী ওজন তুলবেন কখন? যখন মনে হবে, আর বেশি ওজন ঝরানোর প্রয়োজন নেই। বরং এ বার একটু শরীরের মাংসপেশিগুলি শক্ত করা প্রয়োজন, যাকে বলে মাস্ল মাস, তখন ওয়েট ট্রেনিং করা যেতে পারে।
কিন্তু শরীর ফিট রাখতে গেলে এবং ঠিক মতো ওজন ঝরাতে গেলে দু’রকম এক্সারসাইজ়ই মিলিয়ে-মিশিয়ে করা প্রয়োজন। সপ্তাহে ৩ দিন কার্ডিয়ো করলে, ২ দিন ওয়েট ট্রেনিং করা প্রয়োজন।
প্রশিক্ষকেরা বলছেন, আগে বুঝে নিতে হবে লক্ষ্যটা ঠিক কী। ওজন কমানো না কি মেদ ঝরানো না কি শুধুই ফিট থাকা। সেই বুঝে নির্ধারণ করা হবে ওজন তোলার আগে কার্ডিয়ো করবেন না কি পরে। ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা বলছেন, ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে কার্ডিয়ো যেমন জরুরি, ওজন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ওয়েট ট্রেনিংও ততটাই জরুরি। অনেকে ভাবেন তাঁদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিকঠাক হলেই শরীর ফিট। কিন্তু ‘বিএমআই ইন্ডিকেটর’ দেখে শুধু ওজন মাপলেই চলবে না। শরীরে শতকরা কত শতাংশ ফ্যাট রয়েছে তা দেখে নির্ধারণ করতে হয় কে কতটা ফিট।