— প্রতীকী চিত্র।
ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সকলেই জানেন। সাইট্রাস বা লেবুজাতীয় ফলই এই ভিটামিনের উৎস। সেই কারণেই চিকিৎসকেরা নিয়ম করে কমলালেবু খেতে বলেন। শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় কমলালেবুর রস অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই কমলালেবুর রস নিয়মিত খেলে ত্বকের উপর বয়সের ছাপ কমিয়ে ফেলা যায়। ভিটামিন সি ছাড়াও কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন এ, বিভিন্ন বি ভিটামিনের সমষ্টি। এ ছাড়াও পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর কমলালেবুর রস ত্বকে কোলাজেন সিন্থেসিসে মুখ্য ভুমিকা পালন করে। এই কোলাজেন হল এমন একটি প্রোটিন, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে পড়তে পারে না।
১) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
ত্বকে ফ্রি র্যাডিকালের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কমলালেবুর রস। অল্প বয়সে ত্বকে বলিরেখা পড়ার জন্যে দায়ী এই র্যাডিকালগুলি। কমলালেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এই সমস্যা প্রতিহত করে।
২) কোলাজেন
ত্বক ভিতর থেকে কতটা সুন্দর হয়ে উঠবে, তা নির্ভর করে এই কোলাজেনের উপর। এই কোলাজেন আসলে এক ধরনের প্রোটিন। নিয়মিত কমলালেবু খেলে ত্বকে এই কোলাজেনের মাত্রা বেড়ে যায়।
৩) ঔজ্জ্বল্য
ত্বকের জেল্লা ফেরাতে নামীদামি ক্রিম নয়, নিয়মিত খেতে পারেন কমলালেবু। এই লেবুর রসে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বকের কালচে দাগ, ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকে জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
৪) আর্দ্রতা
রসের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে বেশির ভাগই জল। যা শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। তবে সরাসরি ত্বকের প্রসাধনী হিসেবে কমলালেবুর রস মাখলে যে খুব উপকার পাওয়া যাবে, এমনটা কিন্তু নয়।
৫) ক্ষত নিরাময়ে
মুখের কোথাও কেটে বা ছড়ে গেলে ক্ষত নিরাময়ে খাওয়া যেতে পারে কমলালেবু। কমলালেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি ক্ষতস্থানে নতুন কোষ এবং নতুন রক্তজালিকা তৈরি করতেও সাহায্য করে।