Dehydrated Oily Skincare

তেলের অভাব নেই, কিন্তু ত্বকে জলের ঘাটতি রয়েছে! কাজ থেকে ফিরে কী ভাবে মুখের যত্ন নেবেন?

শরীরে জলের ঘাটতি হলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। কিন্তু সেবাম উৎপাদনে তার কোনও প্রভাব পড়ে না। মুখ শুষ্ক দেখালেও নাকের পাশ থেকে তেলের বন্যা বয়ে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী কিনতে হয়। কারও ত্বক শুষ্ক, কারও আবার তৈলাক্ত। কেউ আবার মনে করেন, তাঁর ত্বক তৈলাক্ত এবং শুষ্ক ত্বকের মাঝামাঝি পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু অংশের ত্বক আবার মারাত্মক স্পর্শকাতর। এ পর্যন্ত মোটামুটি সকলেরই ধারণা রয়েছে। তবে কারও ত্বক যদি একই সঙ্গে তৈলাক্ত আবার শুষ্কও হয়, তখন কী করবেন?

Advertisement

চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে জলের ঘাটতি হলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। কিন্তু সেবাম উৎপাদনে তার কোনও প্রভাব পড়ে না। তখন শরীর তার নিজস্ব প্রতিরোধী ক্ষমতা দিয়ে ত্বকে সেবাম ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে এক দিকে যেমন ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যায়, অন্য দিকে মুখের কোনও কোনও অংশ থেকে ছালও উঠতে শুরু করে। জল খাওয়া কম হলে, আবহাওয়ার খামখেয়ালি স্বভাবের কারণে কিংবা ত্বকের সঠিক যত্নের অভাবেও এমনটা হতে পারে।

এই ধরনের ত্বকের যত্ন নেবেন কী ভাবে?

Advertisement

১) যথেষ্ট পরিমাণে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে। খুব ভাল হয় যদি হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে পারেন। ‘আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি তথ্যে বলা হয়েছে, তৈলাক্ত ত্বকে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার না মাখার প্রবণতা থাকে অনেকের। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। ঘন ঘন যদি মুখে ক্রিম না-ও মাখেন, দিনে অন্তত দু’বার মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হবে।

২) ময়েশ্চারাইজ়ারে সেরামাইড, নিয়াসিনামাইডের মতো উপাদান থাকা প্রয়োজন। তাতে ত্বকের ময়েশ্চার লক করা এবং আর্দ্রতা বজায় রাখার কাজটি আরও ভাল হয়। পাশাপাশি ত্বকের স্পর্শকাতরতা এবং প্রদাহজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩) ত্বক যেমনই হোক, এক্সফোলিয়েশন জরুরি। তবে ত্বকের ধরন বুঝে এক্সফোলিয়েটর বা স্ক্রাবের ধরন ঠিক করতে হয়। ২০২০ সালে ‘জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি’তে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, এই ধরনের ত্বকের জন্য উপযুক্ত হল ল্যাক্টিক অ্যাসিড বা ম্যান্ডেলিক অ্যাসিডের মতো উপাদান, যা ত্বকের ক্ষতি না করেই মৃত কোষ সরিয়ে ফেলতে পারে।

৪) ত্বকের বাড়তি তেল বা সেবাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে স্যালিসিলিক অ্যাসিড। তবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ত্বকে যে শুষ্ক ভাব দেখা যায়, এ ক্ষেত্রে সেই সমস্যা হয় না। উল্টে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।

৫) জল, ফলের রস বা তরল পানীয় খাওয়ায় কোনও রকম ঘাটতি রাখা চলবে না। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে দিনে অন্তত পক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খেতে হবে। চা, কফি খাওয়ার পরিমাণে রাশ টানতে পারলেও ভাল হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement