হলুদের প্যাক মাখবেন কিন্তু মুখে তার ছোপ পড়বে না। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করাই হোক বা ব্রণ নিরাময়— কাঁচা হলুদ বাটা মাখার চল নতুন নয়। আগে তো সালোঁয় যাওয়ার চল ছিল না। বিয়ের আগে মেয়েদের ত্বকের পরিচর্চা করার ঘরোয়া টোটকা ছিল কাঁচা হলুদ। এ ছাড়া বসন্তের গুটির দাগ, র্যাশ, ত্বকে অ্যালার্জি-জনিত সমস্যা সমাধানেও অনেকে ব্যবহার করেন এই উপাদানটি। কাঁচা হলুদ বাটাবাটি করা বেশ ঝক্কির। তার বদলে গুঁড়ো হলুদও ব্যবহার করেন অনেকে।
তবে এ কথা একবাক্যে প্রায় সকলেই স্বীকার করবেন যে, হলুদের দাগ কোথাও লাগলে তা তোলা কঠিন, তা সে পোশাকই হোক বা ত্বক। মুখ থেকে হলুদের জেদি দাগ তোলার নানা উপায়ও রয়েছে। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, বাড়িতে বানানো হলুদের মাস্কে যদি কয়েকটি উপকরণ মিশিয়ে নেওয়া যায়, তা হলে দাগ তোলার ঝক্কি একেবারেই পোহাতে হয় না। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) কাঁচা বা গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে অনেকেই বেসন, টক দই মিশিয়ে মুখে মাখেন। ওই মিশ্রণে যদি সামান্য নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন, তা হলে মুখ ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হলুদের ছোপ সহজেই উঠে যাবে।
২) ত্বক স্পর্শকাতর না হলে হলুদের প্যাকে এক চিমটে বেকিং সোডা এবং লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন। তা হলে হলুদের ছোপ তুলতে সমস্যা হবে না। কিন্তু এই প্যাক মাখার পর ত্বকে সামান্য অস্বস্তি হতে পারে। পুরো মুখে মাখার আগে অবশ্যই ‘প্যাচ টেস্ট’ করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
৩) মুখে তেল মাখতে চান না অনেকেই। বেকিং সোডা এবং লেবুর রস মাখতেও অনীহা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে রূপচর্চা শিল্পীদের সহজ টোটকা হল হলুদের প্যাকে ময়েশ্চারাইজ়ার মিশিয়ে দেওয়া। হলুদ, বেসন, টক দইয়ের মিশ্রণে যে কোনও ময়েশ্চারাইজ়ার মিশিয়ে নিলেই সহজে হলদেটে ছোপ তোলা যাবে।