How to identify Fake Beauty Products

দীপাবলির ছাড়ে কম দামে বিদেশি সুগন্ধি, লিপস্টিক কিনছেন? অনলাইনে কেনা জিনিসটি আসল তো?

সেলে কেনা জিনিসের মান ভাল হয় না, এমন ধারণা থাকলেও প্রলোভন এড়াতে পারেন না অনেকে। কিন্তু কম দামে যে সব প্রসাধনী কেনেন, সেগুলি আসল কি না বুঝবেন কী করে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১১:২০
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

বিদেশে না গেলেও বিদেশি সুগন্ধি, লিপস্টিক, সাবান কেনার শখ অনেক দিন। আজকাল তো নিজের দেশে বসেই অনলাইনে তেমন প্রসাধনী কিনতে পারা যায়। কিন্তু বিদেশি জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম! ইচ্ছে থাকলেও তা সব সময়ে সকলের নাগালে থাকে না।

Advertisement

ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে উৎসব-অনুষ্ঠানে ‘ই-কমার্স’ সাইটগুলি অনলাইনে বিপুল ছাড় দেয়। গগনচুম্বী প্রসাধনী বা রূপ-সামগ্রীর দাম সে সময়ে কিছুটা হলেও নাগালে আসে। সেলে কেনা জিনিসের মান ভাল হয় না, এমন ধারণা থাকলেও প্রলোভন এড়াতে পারেন না অনেকে। কিন্তু কম দামে যে সব প্রসাধনী কেনেন, সেগুলি আসল কি না বুঝবেন কী করে?

কী কী দেখে বুঝবেন প্রসাধনীগুলি আসল না নকল?

Advertisement

১) প্রসাধনীর দাম:

নামী কিংবা বিদেশি সংস্থার প্রসাধনীর মূল্য বেশি হবেই। সে সব বহুমূল্য প্রসাধনী কেনার ক্ষমতা সকলের আয়ত্তের মধ্যে থাকে না। কিন্তু শখ তো থাকেই। উৎসব উপলক্ষে অনলাইনে নানা রকম ছাড়ও দেয়। সেই ভিড়ে মিশে থাকে নকল প্রসাধনী। কম দামে কেনা সেই সব রূপ-সামগ্রী ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

২) উপকরণ:

প্রসাধনী তৈরি করতে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, কিংবা বিশেষ কোনও পদ্ধতিতে সেটি তৈরি হয়েছে কি না, সে সব বিবরণ প্রসাধনীর বাক্সে উল্টো পিঠে দেওয়া থাকে। ভাল, নামী যে কোনও সংস্থাই সে নিয়ম মেনে চলে। কিন্তু প্রসাধনীটি যদি নকল হয়, সে ক্ষেত্রে সেটির উপকরণের তালিকা বা বিবরণে কিন্তু গরমিল থাকবে। তাই কেনার আগে ভাল করে তা যাচাই করে নিতে হবে।

৩) মোড়ক বা প্যাকেজিং:

নামী সংস্থার প্রসাধনীর মোড়কেও অভিনবত্ব থাকে। অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল প্রসাধনীটির মোড়ক, আসলটির মতো করতে চেষ্টা করেন। প্রায় একই রকম দেখতে হলেও সূক্ষ্ম কিছু ফারাক থেকেই যায়। প্রসাধনী সংস্থার নামের বানান, হরফ, লেখার ধরন কিংবা প্যাকেজিং এক ঝলকে এক রকম মনে হলেও খুঁটিয়ে দেখলে তা ঠাওর করা যায়।

৪) সিল এবং শংসাপত্র:

কোনও প্রসাধনী সংস্থা নিজে থেকে তাদের রূপ-সামগ্রী ‘ভাল’ বলে ঘোষণা করতে পারে না। তার জন্য ‘ডার্মাটোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ বা ‘এফডিএ’ অনুমোদিত বেশ কিছু শংসাপত্র, সিল থাকে। ওই সংস্থা একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রসাধনীর গুণগত মান বিচার করে। পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই নির্দিষ্ট সংস্থাকে সেই সব শংসাপত্র বা সিল দেওয়া হয়। ক্রেতার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য সে সব বিবরণ প্রসাধনীর বাক্সে দেওয়া থাকে। কেনার আগে তা অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।

৫) ক্রেতার রিভিউ:

প্রসাধনী ব্যবহার করার পর ক্রেতাদের সেই জিনিসটি সম্পর্কে ভালমন্দ মতামত দেওয়ার অধিকার থাকে। তাই অনলাইনে কোনও রূপচর্চা সামগ্রী কেনার আগে ওই নির্দিষ্ট প্রসাধনী সংস্থার ওয়েসাইট কিংবা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া ক্রেতাদের ‘রিভিউ’ বা সমালোচনামূলক মূল্যায়ন দেখে নেওয়া জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement