সদ্যোজাতের হাতে ধরা মায়ের জন্মনিয়ন্ত্রক। ছবি- সংগৃহীত
মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হল সদ্যোজাত। হাতে ধরা মায়েরই শরীরে বসানো জন্মনিয়ন্ত্রক। এমন ছবি বোধ হয় দুঃস্বপ্নেও কেউ কল্পনা করতে পারেননি। কিন্তু এমন ঘটনায় বিস্ময়ে হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে সদ্যোজাতের মা-বাবা সকলেই।
বিয়ের পর কবে সন্তানের জন্ম দেবেন, বা আদৌ অভিভাবক হবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে দম্পতিদের। যেমন নিয়েছিলেন, বছর ২০-র ভালোয়েট কুইক। বছর খানেক আগে বিয়ে হয় আমেরিকার ইডাহো প্রদেশের বাসিন্দা ভায়োলেট কুইক এবং জন ফ্রান্সিসের। শিশুদের প্রতি টান থাকলেও এত তাড়াতাড়ি অভিভাবক হওয়ার কথা ভাবেননি তাঁরা। তাই জন্ম নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন ভায়লেট। কিন্তু তা সত্ত্বেও অভিভাবক হওয়ার খবরে খুশি ছিলেন ভায়োলেট এবং জন।
এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু হঠাৎই ভায়োলেট এক দিন বুঝতে পারেন তিনি মা হতে চলেছেন। জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি মাধ্যম হল ‘আইইউডি’ বা ‘ইনট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস’। বিশেষ এই যন্ত্রটি ভায়োলেটের জরায়ুতে স্থাপন করা ছিল। তা সত্ত্বেও কী করে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলেন, সে বিষয়ে ধন্দ থেকেই গিয়েছে।
ভায়োলেট এবং জনের প্রথম সন্তানের হাতে ধরা সেই ভিডিয়োই সমাজমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল। ভায়োলেট বলেন, “সন্তানধারণের ৯ মাস আগেই আমার শরীরে এই আইইউডি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরেই আমার শরীর খারাপ লাগায় আমি কিছু টেস্ট করানোর চিন্তা করি।”
ভিডিয়োটি পোস্ট হওয়া মাত্রই ২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষের নজরে এসেছে। ভায়োলেটের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে যত না বিস্মিত হয়েছেন নেটাগরিকরা, তার চেয়ে অনেক বেশি অবাক হয়েছেন সদ্যোজাতটির হাতে ধরা জন্মনিয়ন্ত্রকটি দেখে।