নিজের ইনস্টাগ্রামে মিলিন্দ ভাগ করে নেন নানা ফিটনেস টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স ষাট ছুঁইছুঁই। তবুও অভিনেতা-মডেল মিলিন্দ সোমানকে দেখে চোখ সরানো দায়। এখনও তাঁকে দেখে দুর্বল বহু নারীহৃদয়। এই বয়সেও তাঁর ফিট চেহারার কাছে হার মানবে বহু তরুণ। শারীরিক কসরত ও ডায়েটের কড়াকড়ি— এই দুইয়ের জেরেই কি এখনও মিলিন্দ এতটা ফিট? মিলিন্দের ফিট থাকার রহস্যটা কী? নিজের ইনস্টাগ্রামে মিলিন্দ ভাগ করে নেন নানা ফিটনেস টোটকা। বয়স বাড়লেও ফিটনেটের সঙ্গে কোনও রকম আপস নয়, এ কথা বার বার মনে করিয়ে দেন অভিনেতা।
বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মতো ঘণ্টা জিমে কসরত করায় বিশ্বাসী নন মিলিন্দ। তবে ফিট থাকতে কোন পন্থা মেনে চলেন অভিনেতা? মিলিন্দ মনে করেন, ফিট থাকার জন্য সবার আগে ছোট ছোট লক্ষ স্থির করতে হবে। তার পর সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। যাঁরা সবেমাত্র নিজের ফিটনেসের সফর শুরু করেছেন, তাঁদের উদ্দেশে কী বললেন মিলিন্দ? মিলিন্দ বলেন, ‘‘ফিট থাকার জন্য জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করতে হবে, তার কোনও মানে নেই। প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকেও সাধারণ উপায়ে শরীরচর্চা করা যায়। আমি শরীরচর্চার জন্য দিনে মাত্র ১৫ মিনিট সময় দিই। শরীরচর্চার জন্য আলাদা করে সময় বার করার প্রয়োজন নেই। আপনি যেখানে থাকেন, সেখানে সুইমিং পুল থাকলে ১০ মিনিট সাঁতার কেটে নিন, কিংবা বাড়ির চারপাশ একটু দৌড়ে নিন, তাতেও কিন্তু শরীরচর্চা হয়। কোনও বিশেষ খেলা ভাল লাগলে সপ্তাহে একটা নির্দিষ্ট সময় করে ওই খেলাটি খেলার জন্য সময় দিন। দিনের অনেকটা সময় শরীরচর্চার জন্য দেওয়া অনেকের জন্যই সম্ভব হয় না। তাঁরা ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে সেই পথেই এগোন। ফিটনেস তাতেও আসবে।’’
কেবল শরীরচর্চা করলেই হবে না, জীবনযাত্রাতেও বদল আনতে হবে। মিলিন্দের মতে, যত বেশি প্রাকৃতিক জিনিস প্রতি দিনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন ততই ভাল। মিলিন্দ বলেন, ‘‘আমি ধূমপান করতাম। তবে শরীরের কথা ভেবে ছেড়ে দিয়েছি। প্রতি দিনের কাজে যত বেশি সম্ভব প্রাকৃতিক দ্রব্য ব্যবহার করার চেষ্টা করি। আগে এক সাক্ষাৎকারে মিলিন্দ বলেছিলেন, শরীরচর্চার জন্য তিনি কোনও যন্ত্র ব্যবহার করেন না।