ইয়ান গুডফেলো।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় সব ক্ষেত্রেই কর্মীদের কাজের ধরন বদলেছে। দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়েছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। তবে করোনার চোখরাঙানি যেই খানিকটা কমেছে, বেসরকারি সংস্থাগুলি পুনরায় তাদের কর্মীদের অফিসে গিয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিতে শুরু করেছে। আর তাতেই হয়েছে বিপত্তি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে পুনরায় অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে শুনে অনেক কর্মী চাকরি থেকে পদত্যাগ করছেন।
একদল কর্মী অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে শুনে বেশ উৎসাহিত। অপর দিকে এমন অনেকেই আছেন যাঁদের মধ্যে অফিসে যাওয়া নিয়ে বেশ অনীহা দেখা দিয়েছে। তাঁদের ধারণা, অফিসে গেলে তাঁদের কর্মক্ষমতা কমে যাবে। শুধু তা-ই নয়, নিয়মিত অফিস যাতায়াতের জন্য তাঁদের অনেকটা সময় অযথা নষ্ট হবে।
অ্যাপলের মেশিন লার্নিং ডিরেক্টর, ইয়ান গুডফেলোও এমনটাই মনে করেন। অফিসে ফিরে যেতে হবে শুনে তিনি অ্যাপলের চাকরি ছেড়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করেননি। ইয়ানের মতে, এত বড় একটি সংস্থা থেকে কাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত অ্যাপলের হাইব্রিড কাজের নীতির জন্যেই।
কাজের সুবিধার জন্য অ্যাপল সংস্থা গত মাসে সকল কর্মচারীদের জন্য একটি নোটিস জারি করে। সেই নোটিসে জানানো হয়, ২৩ মে থেকে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন অফিস গিয়ে কাজ করতে হবে সংস্থার সব কর্মচারীকেই।
তবে অ্যাপলের নতুন কর্মনীতি ঘিরে কর্মচারীদের মধ্যে বেশ অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। অ্যাপল কর্মীরা অফিসে ফিরে আসার খারাপ দিকগুলি উল্লেখ করে অ্যাপলের সিইও টিম কুকের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। ইমেলে কর্মীরা জানিয়েছেন, ‘নিজের মতো কাজ করার স্বাধীনতা না থাকলে মুশকিল। নতুন কর্মনীতিতে কাজ করতে হলে আমাদের কাছে দু’টো পথ খোলা থাকবে। হয় আমাদের পরিবার-পরিজন আর নিজেদের ভাল থাকাটা বেছে নিতে হবে, নয় বেছে নিতে হবে এই সংস্থার চাকরি! এই সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের কাছে মোটেই সহজ নয়।’