প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১৬ বছর পর্যন্ত আর পাঁচ জন মেয়ের মতোই জীবন কাটিয়েছিলেন আমেরিকার আমান্ডা গ্রুয়েনেল। কিন্তু এর পরে চিকিৎসকের থেকে জানতে পারেন, তাঁর শরীর আর পাঁচ জন মেয়ের মতো নয়। জন্ম থেকেই জরায়ু নেই তাঁর। চিকিৎসক বলে দেন, কখনও মা হতে পারবেন না তিনি। কিন্তু মনের জোর এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাহায্যেই সেই কথা ভুল প্রমাণ করলেন আমান্ডা।
৩২ বছর বয়সে পৌঁছে আমান্ডা সিদ্ধান্ত নেন, তিনি মা হওয়ার চেষ্টা করবেন। সেই হিসেবে তিনি জরায়ু প্রতিস্থাপনের আর্জি জানিয়ে নাম লেখান। নানা রকমের ঝুঁকি আছে জেনেও পিছিয়ে যাননি। তাঁকে সাহায্য করেন ঘনিষ্ঠেরা।
ঠিক এ রকম সময়েই আমান্ডার মা জেনেট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। আমান্ডা বলেন, ‘‘মা তখন ক্যানসারে আক্রান্ত। একদিন বলেন, স্বপ্নে দেখেছেন আমার মেয়ে হয়েছে। সে আমার মতোই দেখতে। আর তার নাম গ্রেস। মায়ের এই ইচ্ছাটাকে উপেক্ষা করতে পারিনি।’’ জরায়ু প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে আর পিছিয়ে যাননি তিনি। মৃত এক মহিলার জরায়ু প্রতিস্থাপন করা হয় তাঁর শরীরে।
এর পরে আইভিএফ বা ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ পদ্ধতির সাহায্য নেন আমান্ডা। গত মার্চ মাসে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। মেয়ের নাম রেখেছেন গ্রেস। পুরোপুরি সুস্থ সে। ইতিমধ্যেই আমান্ডার এই ঘটনাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বড় মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।