কোন কোন বিমানে ওয়াইফাই পাবেন যাত্রীরা? প্রতীকী ছবি।
মাঝ আকাশে বিনামূল্যে ওয়াইফাইয়ের পরিষেবা পাবেন বিমানযাত্রীরা। অর্থাৎ আকাশে ওড়ার সময়েই ইন্টারনেট ব্যবহারে আর কোনও বাধা রইল না। নতুন বছরে বড় চমক দিল এয়ার ইন্ডিয়া। জানুয়ারির ১ তারিখ থেকেই এই পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে সব বিমানে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। এয়ার ইন্ডিয়ার কিছু বিমানেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে খবর।
ওড়ার অব্যবহিত পরে বা অবতরণের সময়ে যাত্রীরা ওয়াইফাই ব্যবহার করলে বিমানের যোগাযোগ ও নেভিগেশন ব্যবস্থায় তার প্রভাব পড়ে। তাতে বড়সড় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে। তাই আকাশে বিমানের ভিতরে যাত্রীদের ওয়াইফাই ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল এত দিন। বিশেষ করে ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিজিসিএ)-এর নিয়ম অনুযায়ী বিমান মাটি থেকে ১০ হাজার ফুট উপরে ওঠা পর্যন্ত এবং নামার সময়ে ১০ হাজার ফুট থেকে মাটি ছোঁয়া পর্যন্ত বিমানের ভিতরে কোনও ভাবেই ওয়াইফাই ব্যবহার করা যাবে না। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, বিমান আকাশে ওড়ার পর ১০ হাজার ফুট উপর থেকেই ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা। তার আগে নয়।
এয়ার ইন্ডিয়ার চিফ কাস্টমার এক্সপিরিয়েন্স অফিসার রাজেশ ডোগরা জানিয়েছেন, কয়েকটি বিমানেই বিনামূল্যে ওয়াইফাইয়ের পরিষেবা পাওয়া যাবে। এয়ারবাস এ৩৫০, বোয়িং ৭৮৭-৯ ও এয়ারবাস এ৩২১নিও মডেলের বিমানগুলিতেই যাত্রীরা এই সুবিধা পাবেন।
অনেক দেশই তাদের আকাশসীমায় ওয়াইফাই ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। বিমানে ওয়াইফাই পরিষেবা থাকলে তা বিমানের নিজস্ব সংযোগ ব্যবস্থাকে ব্যাঘাত করতে পারে, এই যুক্তিতে এত দিন ভারতীয় আকাশসীমায় এই পরিষেবা দেওয়া হত না। কিন্তু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে বলেই দাবি এয়ার ইন্ডিয়ার। ভারতের আকাশে ওয়াইফাই করে যাত্রীরা হোয়াটসঅ্যাপ বা ফোন করতে পারেন না। সেই ক্ষেত্রে নিষেধ রয়েছে ডিজিসিএ-র। অনেক দেশে অবশ্য যাত্রীরা মাঝ আকাশ থেকে হোয়াট্সঅ্যাপে বার্তা পাঠাতে এবং ফোন ব্যবহার করতে পারেন। তবে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তাদের পরিষেবায় মাঝ আকাশে হোয়াট্সঅ্যাপ কল ব্যবহার করা যাবে।