Crime News

‘ঋণ অনেক, সৌদি থেকে স্বামী টাকা পাঠাচ্ছে না’, মুর্শিদাবাদে বাপের বাড়িতে নিজেকে শেষ করলেন বধূ

পাঁচ বছর আগে স্থানীয় যুবক সাঙ্গীর শেখের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মমতাজ বেগমের। স্বামী কর্মসূত্রে ভিন্‌দেশে থাকেন বলে বাপের বাড়িতে থাকতেন ওই বধূ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৮
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাপের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন ২৪ বছরের ওই বধূ। পরিবারের দাবি, আর্থিক কারণে আত্মহত্যা করেছেন বধূ। যদিও সেই ‘তত্ত্ব’ এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

শনিবার দুপুরে ভরতপুর থানার মির্ধাপাড়া গ্রামে মমতাজ বেগম নামে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করেন বাড়ির লোকজন। কাছে ভরতপুর গ্রামেই মমতাজের শ্বশুরবাড়ি। প্রায় পাঁচ বছর আগে স্থানীয় যুবক সাঙ্গীর শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে। কর্মসূত্রে স্বামী বিদেশে থাকেন। তাই সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে ছিলেন মমতাজ। যুবতীর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, শনিবার দুপুরে একটি ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া পায় মমতাজকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃতার ভাই মীর উজ্জ্বল বলেন, ‘‘জামাই সৌদি আরবে থাকে। ও কাজে যাওয়ার সূত্রে অনেক টাকা ঋণ করেছিল। সংসার চালানোর জন্যও দিদিও কিছু টাকা লোকজনের কাছে ধার করেছিল। অন্য দিকে, জামাই ঠিক মতো টাকা পাঠাচ্ছে না। ওই কারণে দিদি মানসিক চাপে ছিল। আমাদের মনে হয়, সেখান থেকেই ও আত্মহত্যা করেছে।’’ এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী পুলিশ পদক্ষেপ করবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement