সবে মাত্র শেখা ওই পদ্ধতি প্রথম বার প্রয়োগ করতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। ছবি: সংগৃহীত।
বন্ধু নতুন কিছু শিখলে, তার প্রথম গিনিপিগ হয় বন্ধুরাই। সে প্রথম বার কোনও পদ রান্না করাই হোক, বা রূপচর্চা। তেমনই এক বন্ধুর কাছে স্থায়ী ভুরু আঁকতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু সবে মাত্র শেখা ওই পদ্ধতি প্রথম বার প্রয়োগ করতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি।
২২ বছর বয়সি কেটি অ্যাডাম্স নিজের ভুরু যুগলের ঘনত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই ভুরুযুগলের উপর ‘মাইক্রোব্লেডিং’ পদ্ধতিতে ভুরু আঁকবেন বলে ঠিক করেছিলেন। এই পদ্ধতি যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ। তাই করাবেন কি না, তাই নিয়ে কেটির মনে দোলাচল ছিলই। ঠিক এমন সময়ে কেটির এক বন্ধু জানান, তিনি এই পদ্ধতিতে ভুরু সাজানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাই খরচা না করেই এমন ভুরুযুগল পাওয়া যাবে অনায়াসেই। তাঁর কথামতো কেটি প্রক্রিয়া শুরুও করে দেন। কিন্তু মুশকিল হল এই ‘মাইক্রোব্লেডিং’ পদ্ধতিতে বিশেষ এক রকম রঙের ব্যবহার করা হয়। ভুরুর আকার বুঝে, সুচের মাধ্যমে যা প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু তার জন্য দক্ষ হাতের প্রয়োজন হয়। মুখের আকার, ত্বকের রঙের সঙ্গে মানিয়ে আঁকতে হয় ভুরু। একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই বিপদ। আর কেটির ক্ষেত্রে তেমনটাই হল।
কেটির বন্ধু এমন ভুরু আঁকলেন যে, অভিব্যক্তি যেমনই হোক, মুখ দেখলে মনে হচ্ছে ওই তরুণী সব সময়েই রেগে রয়েছেন। শুধু কি তাই? ভুরুর রেখার শুরুতেই ওই রঙের দু’টি বিন্দু। যা কোনও মতেই মোছা যাচ্ছে না। কেটি বলেন, “সবই আমার ভাগ্য। সেই কবে থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি ঘন ভুরু পাওয়ার! কিন্তু মনের মতো আকৃতি বা ঘনত্ব, কোনওটাই পাচ্ছি না। আর এখন যা হল, এর পর আর আমি কোনও মতেই ভুরু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব না।”