ক্যানসারের পরও মা হওয়া যায়? ছবি- পিক্সাবে
অল্প বয়সে ক্যানসার ধরা পড়েছিল। দীর্ঘ এবং জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়া শেষে, প্রাণে তো বেঁচে গেলেন। কিন্তু ‘মা’ ডাক শুনতে পাবেন কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন ক্যানসারজয়ী প্রায় মেয়েরা। হালের গবেষণা বলছে, ক্যানসারের চিকিৎসা এবং তার প্রভাবমুক্ত হওয়ার পর মেয়েরা নিশ্চিন্তে সন্তানধারণ করতে পারেন।
পাশাপাশি গবেষকরা জানিয়েছেন, সন্তানধারণ করা নিয়ে কোনও দ্বিমত না থাকলেও তা অনেকটা নির্ভর করে রোগের ধরন, চিকিৎসার পদ্ধতি এবং জীবনযাপনের উপর। এই রোগের চিকিৎসা চলাকালীন শরীরে ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলিকে নষ্ট করতে যে সব ক্ষতিকারক রাসায়নিক বা তরঙ্গের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তার প্রভাব বেশ অনেক দিন পর্যন্ত থাকে শরীরে। তার জেরে ক্ষতি হতে পারে গর্ভস্থ ভ্রূণের।
চিকিৎসকদের মতে, চিকিৎসার পদ্ধতি ছাড়াও ক্যানসার শরীরের কোন অংশকে আক্রান্ত করছে, সে বিষয়টি কিন্তু এই ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পর যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়, সেটি হল, কে কতটা তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে পারবেন, অর্থাৎ ব্যক্তিগত প্রতিরোধক্ষমতা। সব শেষে দেখতে হয়, রোগী কেমোথেরাপির প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে উঠতে পেরেছেন কি না। এই সব বিষয় যাচাই করে তবেই কোনও মহিলাকে সন্তানধারণের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
ক্যানসারমুক্ত হওয়ার কত দিন পর সন্তানধারণ করা যেতে পারে?
চিকিৎসকদের মতে, ক্যানসারের চিকিৎসা বেশ সময়সাপেক্ষ। তাই কারও ক্ষেত্রে দু’বছর, আবার কারও ক্ষেত্রে তা ৫-৬ বছরও হতে পারে। তবে ৫-৬ বছর পর ক্যানসারমুক্ত হলেও সঙ্গে সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল। কারণ, তখনও পর্যন্ত শরীর থেকে কেমোথেরাপির প্রভাব পুরোপুরি চলে যায় না। এর প্রভাবে সাময়িক ভাবে নষ্ট হয় ডিম্বাণু উৎপাদন ক্ষমতা।
পুরোপুরি মুক্ত হতে সময় লাগে আরও ৫ বছর। তাই কমপক্ষে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতেই হবে। তার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শারীরিক সব খুঁটিনাটি তলিয়ে দেখে, তবেই নিশ্চিত হতে পারেন যে মা হতে আর কোনও বাধা রইল কিনা।