রক্তচাপের মাত্রা হাতের মুঠোয় রাখতে রোজের খাওয়াদাওয়াতেও আনতে হবে বদল। ছবি: সংগৃহীত।
অত্যধিক চাপ, দুশ্চিন্তা, ব্যস্ততা, মানসিক চাপ, ঘন ঘন বাইরের খাবার খাওয়া— এমন কিছু কারণে জীবনে হানা দিচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা। সমীক্ষা বলছে, গোটা বিশ্বে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সব সময় ভিতরের বিপদ বাইরে থেকে আঁচ করা যায় না। উচ্চ রক্তচাপের বিষয়টি এমনই। ফলে ঘনিয়ে আসে হৃদ্রোগ কিংবা স্ট্রোক। চিকিৎসকরা মনে করেন, এই আকস্মিক বিপদের মূলে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রক্তচাপের মাত্রা। একটা বয়সের পর থেকে শরীরের সব কলকব্জা কেমন কমজোরি হয়ে পড়ে। রক্তবাহী নালিগুলিও এই তালিকায় পড়ে। তাই বার্ধক্যে রক্তচাপের মাত্রা একটু বেশির দিকেই থাকে। তবে ইদানীং আর উচ্চ রক্তচাপ বার্ধক্যে সীমাবদ্ধ নেই। কম বয়সেও হানা দিচ্ছে এই রোগ। তবে যে বয়সেই হোক, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কালঘাম ছোটে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া তো জরুরি বটেই। সেই সঙ্গে রোজের খাওয়াদাওয়াতেও আনতে হবে বদল। কম চর্বিযুক্ত খাবার, ফলমূল, শাকসব্জি বেশি করে খাওয়া জরুরি। কিন্তু কয়েকটি খাবার রক্তচাপের মাত্রা হাতের মুঠোয় রাখতে পারে। রইল তেমনি ৩টি খাবারের খোঁজ।
বিটের রস
বিটের মতো উপকারী সব্জি খুব কম রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা রোজের পাতে রাখতে পারেন বিট। ধমনী শিথিল রেখে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে বিটের রস। প্রতি দিন ২৫০ মিলি বিটের রস পান করলে উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা অনেক কম থাকে।
পেঁয়াজে রয়েছে কোয়ারসেটিন, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
পেঁয়াজ
প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সমৃদ্ধ পেঁয়াজ রক্তনালি প্রসারিত করে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া, পেঁয়াজে রয়েছে কোয়ারসেটিন, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কলা
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভীষণ সাহায্য করে। রোজ একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে চিরতরে।