Mental Health

পিয়ানোর সুরেই কেটে যাবে মনের সব অন্ধকার, দাবি সমীক্ষায়

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানসিক অবসাদ কাটাতে ওষুধ নয়, যন্ত্রসঙ্গীতই বেশি কার্যকর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:২১
Share:

মনের যন্ত্রণায় যন্ত্রসঙ্গীত। ছবি- সংগৃহীত

হালের গবেষণা বলছে, মানসিক অবসাদ কাটাতে পিয়ানোর মতো যন্ত্রসঙ্গীতের সুর বিশেষ ভাবে কার্যকর। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আগে থেকে যন্ত্রসঙ্গীতের ধারণা নেই, এমন মানুষদের সপ্তাহে এক ঘণ্টার পর্বই যথেষ্ট।

Advertisement

লন্ডনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক করিন পেট্রিনি বলেন, “যন্ত্রসঙ্গীত শোনা বা বাজানোর সময় অদ্ভুত ভাবেই মনমেজাজ ভাল হয়ে যায়। তবে গবেষণা করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যন্ত্রসঙ্গীত শোনার চেয়ে শেখার গুরুত্বই বেশি।”

যন্ত্রসঙ্গীত শেখার ক্ষেত্রে আঙুল এবং মস্তিষ্ক দুই-ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পিয়ানো শেখার ক্ষেত্রে। আঙুলের সঙ্গে মাথার মেলবন্ধন না হলে কোনও যন্ত্রসঙ্গীতই শেখা সম্ভব নয়। তাল এবং ছন্দের জন্য মস্তিষ্কে আলাদা দু’ভাগ প্রকোষ্ঠ থাকে। সেই ভাবেই দু’টি হাত কাজ করে। শেখার একদম প্রথম দিকে আঙুল সড়গড় করানোর জন্য ২০ মিনিট ধরে এক-একটি পর্ব চলে।

Advertisement

দ্বিতীয় ভাগে ৪০ মিনিট ধরে চলে মাথার এবং হাতের একত্র চর্চা। এই হাত এবং মাথা যখন একসঙ্গে ‘সিঙ্ক’ করতে শুরু করে, তখনই মস্তিষ্কের নেতিবাচক চিন্তাভাবনার উপর তার প্রভাব পড়ে। মাথার মধ্যে সর্ব ক্ষণ চলতে থাকা ভাল-মন্দের দ্বন্দ্বে জয়ী হয় ইতিবাচক মনোভাব। পাশাপাশি, বাড়তে থাকে ‘হ্যাপি হরমোন’ সেরেটোনিনের প্রভাবও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement