মলদ্বার দিয়েই বেরোল বল। ছবি- সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ বছরের এক কিশোর খেলতে খেলতে মলদ্বারে ঢুকিয়ে ফেলে একটি গল্ফ বল। শরীরে কোনও রকম অসুবিধা ছাড়াই বলটি চলে যায় বৃহদন্ত্রের একেবারে শেষ পর্বে। সে বল কোনও অস্ত্রোপচার ছাড়াই বার করে আনলেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু কী ভাবে হল এমন অসাধ্যসাধন?
অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসাশাস্ত্র সংক্রান্ত একটি পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য বলা হয়েছে, ওই কিশোরের ‘এক্স-রে’ করে দেখা যায়, সাদা গোলাকার, ডিমের মতো দেখতে একটি বস্তু রয়েছে তার পেটের তলার দিকে। যেটি আসলে গল্ফ খেলার একটি বল।
ঘটনাটি ঘটানোর পর, নিজে থেকে বলটি বার করতে না পেরে ভয় পেয়ে ওই কিশোর ছুটে যায় তার মায়ের কাছে। জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, আস্ত একটি বল পেটের মধ্যে ঢুকে থাকার পরও তার শরীরে কোনও অস্বস্তি হয়নি। চিকিৎসকরা প্রাথমিক ভাবে ‘সাকশন কাপ’, ‘মেডিক্যাল নেট’, ‘রিট্রিভার পাউচ’ এবং ‘বেলুন ক্যাথিটার’-সহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পেটের ভিতর থেকে বলটি বার করার চেষ্টা করেন। বার বার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় কিশোরের পরিবারের লোকজনও এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রবল আপত্তি জানাতে থাকেন।
বলটি বার করার জন্য দু’ঘণ্টা ধরে মলদ্বারের উপর চিকিৎসকদের নানা রকম প্রচেষ্টার পরও দেখা যায়, বলটির অবস্থানে কোনও পরিবর্তন না হওয়ায়, শেষে পেট পরিষ্কার হয় এমন একটি জিনিস জলে গুলে খাইয়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা জানান, এক লিটার মতো সেই দ্রবণ খাওয়ার পর, বৃহদন্ত্র থেকে মলদ্বার পর্যন্ত কোনও রকম ক্ষয়-ক্ষতি না করে, সাধারণ ভাবেই বলটি পেট থেকে বেরিয়ে আসে। গোটা কর্মকাণ্ডে সময় লাগে ঘণ্টা তিনেক। এমন ঘটনা কাঙ্ক্ষিত না হলেও ভবিষ্যতে যদি কারও সঙ্গে তা ঘটে, সে ক্ষেত্রে আগেই অস্ত্রোপচারের দিকে না গিয়ে এই দ্রবণ খেয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।