কোভিড অতিমারির প্রভাব আজ বিশ্বে সব ক্ষেত্রেই পড়েছে। বাদ যায়নি শিক্ষাক্ষেত্রও। যে সব ছাত্রছাত্রী বিদেশে উচ্চশিক্ষা করতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, তারা পড়েছে সমস্যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট-এর ব্যুরো অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স সারা ক্ষণই নিরীক্ষণ করে চলেছে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কী পরিস্থিতি, আন্তজার্তিক ছাত্রছাত্রীদের উপরে তার কী প্রভাব পড়ছে বা আগামী দিনে পড়তে পারে, এবং সেখানকার উচ্চশিক্ষা দফতরও বা বিষয়গুলি কী ভাবে সামলাচ্ছেন। আমরা সব সময়েই আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করছি, যাতে কোনও সমস্যা হলেই তারা সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ বা আধিকারিকদের যোগাযোগ করে।
এখন বলে নয়, বরাবরই ছাত্রছাত্রীদের সুস্থ এবং নিরাপদ থাকার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে আমেরিকার কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। আমরা আশা করছি আর কয়েক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হবে। ফলে যে সব ছাত্রছাত্রী আমেরিকায় পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলে, তারা আর কিছু দিনের মধ্যে তা করতে পারবে।
অতিমারির কারণে ২০ মার্চ থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সমস্ত মার্কিন দূতাবাসে ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট। সমস্ত দূতাবাসেই আবার স্টুডেন্ট এবং অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ ভিজ়িটর ভিসা প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে, কিন্তু সীমিত ভাবে। ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন উইক-এর অংশ হিসেবে কিছু দিন আগে কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে পরিচালিত হয় ‘স্টুডেন্ট ভিসা উইক’।
ইউনাইটেড স্টেটস-ইন্ডিয়া এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন (ইউসিয়েফ)-এর সেন্টারগুলির মধ্যেই পড়ে ‘এডুকেশন ইউএসএ ইন্ডিয়া’। কলকাতা সহ দেশের অন্যান্য শহরে রয়েছে এই সেন্টার। ব্যাচেলর, মাস্টার্স, এবং পিএইচ ডি পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কী করছে, কী নীতি নেওয়া হচ্ছে— এখান থেকেই এমন যাবতীয় তথ্য পাবে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা। তা ছাড়া, প্রতি মাসেই এডুকেশন ইউএসএ ইন্ডিয়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওয়েবিনারের ব্যবস্থা করছে।
তোমাদের এই সব বিষয়ে কোনও জিজ্ঞাস্য থাকলে আমাদের ই-মেল করতে পারো usiefkolkata@usief.org.in।
আমাদের ফেসবুক পেজও রয়েছে, www.facebook.com/EducationUSAIndia; এবং আমেরিকান কনসুলেটর, www.facebook.com/Kolkata.usconsulate/। হোয়াটসঅ্যাপ: +৯১৮২৪০২-৬১১২১
ডিরেক্টর, আমেরিকান সেন্টার, কলকাতা