আগামী ২০২২ সালের মধ্যে একটি মাত্র প্রকল্প থেকে সারা দেশে তৈরি হবে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান। এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজস্ব উদ্যমে শুরু হওয়া প্রকল্প ‘গুজরাত ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স টেক-সিটি’ বা সংক্ষেপে গিফ্ট।
গুজরাত সরকারের হাতে নেওয়া এই প্রকল্পের এমডি ও গ্রুপ সিইও রমাকান্ত ঝা দাবি করেন, সারা দেশে ১০ লক্ষ কাজ ‘উপহার’ দেওয়ার সম্ভাবনা এই প্রকল্পের রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী এত দিন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিজেই প্রকল্পটির তদারকি করতেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আনন্দবেন পটেলও ৬৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটির সঙ্গে জড়িত।
প্রকল্পের লক্ষ্য নামী-দামি আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার লগ্নি টানা। তার জন্য বিশ্বমানের পরিকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে গুজরাত নগরোন্নয়ন সংস্থা (জিইউডিসিএল) এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আই এল অ্যান্ড এফ এস)-এর যৌথ উদ্যোগে রূপায়িত এই প্রকল্পে। ঝা জানিয়েছেন, সিন্জুুকু, টোকিও, সাংহাই, প্যারিসের ধাঁচে আর্থিক পরিষেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি হাব তৈরি হচ্ছে গিফ্ট প্রকল্পে, যাতে ওই সব বিখ্যাত শিল্প কেন্দ্রের সঙ্গে এক সারিতে উঠে আসে ভারতও।
বর্তমানে প্রকল্পটি মোদীর বাতলে দেওয়া পথেই রূপায়িত হচ্ছে বলে জানান ঝা। সরকারি সূত্রের খবর, প্রকল্পটি ৮৮৬ একর জমির উপর গড়ে উঠছে সবরমতী নদীর তীরে, আমদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে। এর মধ্যে ৬৭৩ একর গিফ্ট-এর নিজস্ব মালিকানাধীন। যার মধ্যে রয়েছে ২৫০ একরের বিশেষ আর্থিক অঞ্চল বা স্পেশাল ইকনমিক জোন এবং ৪২৩ একরের আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্র ও সামাজিক পরিকাঠামো। ঝা প্রসঙ্গত জানান, প্রকল্প এলাকাটি সড়ক, মেট্রো রেল ও দ্রুতগতির বাস পরিবহণ ব্যবস্থা (বাস র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম বা বি আর টি এস) মারফত অন্যান্য জায়গার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।
সরকারি সূত্রের দাবি, নরেন্দ্র মোদীর এই ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ তিন দফায় গড়ে উঠবে এবং শেষ পর্যায়টি রূপায়িত হবে ২০২২ সালের মধ্যে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থা সেখানে দফতর খুলেছে বলে দাবি করেন ঝা।