দীপিন্দর গয়াল। ছবি টুইটার।
আপনি কখনও না কখনও নিশ্চয়ই জোম্যাটো থেকে খাবার আনান। কে বলতে পারে, পরের বার যখন খাবার অর্ডার করবেন, হয়তো দেখলেন সেই খাবারটা আপনার বাড়িতে পৌঁছে দিলেন স্বয়ং জোম্যাটোর সিইও দীপিন্দর গয়াল! হ্যাঁ, এমনটা হতেই পারে।
মাঝে মধ্যে জোম্যাটোর সেই চেনা পরিচিত লাল রঙের টি-শার্ট পরে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেন স্বয়ং সংস্থার সিইও। এ কথা সম্প্রতি ফাঁস করেছেন ‘নকরি ডট কম’-এর মালিক সঞ্জীব বিকচন্দানি। প্রতি তিন মাস অন্তর এক বার এমন কাণ্ড করেন দীপিন্দর।
এই গোপন কথা ফাঁস করে টুইট করেছেন সঞ্জীব। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘দীপিন্দর ও জোম্যাটোর সদস্যদের সঙ্গে দেখা হল। খুব ভাল লাগল জেনে যে, সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজাররা-সহ দীপিন্দরও লাল রঙের জোম্যাটোর টি-শার্ট পরে বাইকে করে এক দিন খাবার পৌঁছে দেন। যাতে তাঁকে সহজে কেউ চিনতে না পারেন, সে কারণেই এমন বেশে খাবার পৌঁছে দেন দীপিন্দর। এ কথা উনিই আমাকে বলেছেন।’’
সঞ্জীব আরও জানিয়েছেন যে, গত তিন বছর ধরে এমনটা করছেন দীপিন্দররা। জোম্যাটো সিইও-র এই পদক্ষেপের কথা জেনে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত হয়েছেন নেটিজেনরা। সমাজমাধ্যমে সঞ্জীবের টুইট প্রকাশ্যে আসতেই মুগ্ধ হয়েছেন সকলে। ‘দুর্দান্ত উদ্যোগ’ ও ‘প্রেরণা জোগাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
অন্য দিকে, গত সপ্তাহেই খাবার ও গানের কার্নিভালের আয়োজন করার কথা ঘোষণা করেছে জোম্যাটো। এই উৎসবে শামিল হবে চারশোটি রেস্তরাঁ। সেই সঙ্গে ১৪০ ঘণ্টা ধরে বিনোদনের সমস্ত আয়োজন করা হবে। শেষ বার এই ধরনের কার্নিভাল হয়েছিল ২০১৯ সালে। সে বার ওই কার্নিভালে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার জন মানুষ। তিনশোটির বেশি রেস্তরাঁ অংশ নিয়েছিল। ৩ লক্ষ সত্তর হাজারেরও বেশি পদ পরিবেশন করা হয়। পাশাপাশি বাদশার মতো সঙ্গীতশিল্পীরা কার্নিভাল মাতিয়েছিলেন।