পাক নৌ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। ছবি: টুইটার
পাকিস্তানের নৌ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল ভারত। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের অপহরণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পোরবন্দরের নেভিবন্দর থানার তরফে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
অভিযোগ, গত ৬ অক্টোবর গুজরাতের জখৌ বন্দর থেকে পঁয়তাল্লিশ মাইল দূরে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ভারতের ৬ জন মৎস্যজীবী। ভোর ৫টা নাগাদ তাঁদের নৌকার দিকে এগিয়ে আসে পাকিস্তানের নৌ নিরাপত্তা রক্ষীদের (পাকিস্তান মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সি বা পিএমএসএ) জাহাজ। অভিযোগ, সেখান থেকে ভারতীয় নৌকাটিকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। নৌকাটিকে ডুবিয়ে দিয়ে ভারতের মৎস্যজীবীদের অপহরণ করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানের, দাবি করেছে ভারত।
জানা গিয়েছে, ওই জাহাজে পাক নৌসেনার মোট ২৫ জন আধিকারিক ছিলেন। তাঁদের কাছে বার বার গুলি না চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাঁরা থামেননি বলে অভিযোগ। বেগতিক বুঝে এক মৎস্যজীবী আপৎকালীন সাহায্যের (এসওএস) আবেদন জানান। তাতে সতর্ক হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে আনেন তাঁরা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই পাক নৌসেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের দাবি, তাঁদের অপহরণ করেছিলেন পাক আধিকারিকরা। পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। পরে ভারতীয় উপকূলরক্ষীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উল্টো কথা বলতে শুরু করেন তাঁরা। ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের তাঁরা জানান, বিপদে পড়া মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা।
পাকিস্তানের তরফে মৎস্যজীবীদের ভারতীয় রক্ষীর হাতে তুলে দেওয়ার ভিডিয়ো করা হয়। তা পোস্ট করে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তাও দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের দাবি উড়িয়ে অপহরণের অভিযোগ এনেছেন ওই ৬ মৎস্যজীবী। দেশের মাটিতে পা রেখে তাঁরা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে সম্পূর্ণ ঘটনার বর্ণনা দেন। তার ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩৬৫ (অপহরণ), ৪২৭ (ক্ষতি সাধন করা), ৩২৪ (কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করা) এবং ৩২৩ (আঘাত করা) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর।