— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বেঙ্গালুরু কাছে মিলল জিকা ভাইরাস। তার পরেই ওই এলাকায় যাঁরা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে বিশেষ পরীক্ষা করা হচ্ছে। চিক্কাবাল্লাপুরের একটি মশা গত অগস্টে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই পরীক্ষার ফল বার হওয়ার পর জানা গিয়েছে, মশাটির শরীরে জিকা ভাইরাস রয়েছে। যেখান থেকে ওই মশা মিলেছে, তার চারপাশে ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এস মহেশ জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে ১০০টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। চিক্কাবাল্লাপুর থেকেই ছ’টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। পাঁচটির রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও একটি মশায় জিকা ভাইরাস মিলেছে। ২৫ অক্টোবর সেই রিপোর্ট এসেছে। ওই এলাকায় তিন রোগী জ্বরে ভুগছেন। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁরা তিন জন এখন স্থিতিশীল।
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত এডিস মশার কামড়ে এই রোগ ছড়ায়। ঠিক যে ভাবে ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়া ছড়ায়। ১৯৪৭ সালে আফ্রিকার উগান্ডায় প্রথম এই ভাইরাসের হদিস মিলেছিল। গত ডিসেম্বরে কর্নাটকের রায়চুর জেলায় পাঁচ বছরের এক বালিকার শরীরে মিলেছিল জিকা ভাইরাস। তার পরেই সচেতন হয় প্রশাসন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে। ওই সময়ই মহারাষ্ট্রে এক প্রবীণের শরীরেও মেলে জিকা ভাইরাস। জিকার উপসর্গগুলি হল, জ্বর, ত্বকে র্যাশ, গোলাপি চোখ, গাঁটে এবং মাথায় ব্যথা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে থাকে এ সব উপসর্গ।