মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগদান বাবুলাল চৌরাসিয়ার।
বছর কয়েক আগে মহাত্মা গাঁধীকে ‘ভুলে’ তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের অনুগামী হয়েছিলেন এক কংগ্রেস নেতা।মধ্যপ্রদেশের ওই নেতা বাবুলাল চৌরাসিয়াকে এ বার দলে ফেরাল কংগ্রেস।বুধবার রাতে দলীয় নেতা কমল নাথের হাত ধরে তিনি ফের নিজের পুরনো দলে ফিরেছেন। কংগ্রেস বাবুলালের ‘ঘরে ফেরা’র ঘটনাকে দলের ‘ক্ষমাশীল’ চরিত্র হিসেবেই দেখাচ্ছে। কিন্তু বিজেপি-র মতে, রাজ্যে‘হালে পানি’ পেতে এটা কংগ্রেসের হাস্যকর চেষ্টা।
বছর চারেক আগে গ্বালিয়রে গডসে মন্দিরে নাথুরামের মূর্তির সামনে এক প্রার্থনাসভায় অংশ নিয়েছিলেন বাবুলাল। ২০১৯-এ ফের খবরের শিরোনামে আসেন তিনি। গাঁধী হত্যার বিচারের শেষদিনে আদালতে গডসে আত্মপক্ষ সমর্থনে যা যা বলেছিলেন, তা এক লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে সেই সময় মন্তব্য করেছিলেন বাবুলাল। কংগ্রেস ছেড়ে হিন্দু মহাসভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গ্বালিয়র থেকে জিতেওছিলেন।তা হলে ফের কেন কংগ্রেসে? ওই কংগ্রেস নেতা বাবুলাল জানিয়েছেন, তিনি নিজে থেকে গডসের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হননি। তাঁকে ওই পথে সুপরিকল্পিত ভাবে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছেন, বাবুলালকে তাঁরা ক্ষমা করে দিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী রাজীব-হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। গাঁধী পরিবারের সদস্যদের এই মূল্যবোধ আর হৃদয়বোধই বাবুলালের মতো গডসে পূজারীকে ফের গাঁধীজির আদর্শে ফিরিয়ে এনেছে।’’ অন্য দিকে হিন্দু মহাসভার মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেস এখন যাকে পাবে তাকেই নেবে।’’
বিজেপি-র দাবি, গত বছরের মার্চে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়েগেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তার জেরে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস দলটাই বিপাকে পড়ে যায়। উপ-নির্বাচনেও খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। বাবুলালের মতো নেতা-কর্মীদের ফের দলে নিয়ে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার ‘ব্যর্থ’ চেষ্টা করছে বলেও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।