Ministry of External Affairs

‘আশ্বাস নয়, চাই পদক্ষেপ’ ভারতীয় দূতাবাসের উপর খলিস্তানি হামলা নিয়ে সরব হলেন বিদেশমন্ত্রী

গত রবিবার এক দল খলিস্তানি সমর্থক অমৃতপাল সিংহের নামে স্লোগান দিয়ে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালান। দূতাবাস থেকে নামানো হয় ভারতের পতাকা। সানফ্রান্সিসকোর দূতাবাসেও হামলা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ১০:২৩
Share:

দূতাবাসের উপর খলিস্তানি হামলা নিয়ে সরব হলেন এ বার বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। ফাইল চিত্র।

লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খলিস্তানি হামলা নিয়ে আরও সুর চড়াল ভারত। এ বার এই বিষয়ে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। বিদেশের মাটিতে দেশের দূতাবাসের উপর হামলা যে গ্রহণযোগ্য নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। দূতাবাসের নিরাপত্তার বিষয়টি সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির উপর চাপিয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, “দূতাবাসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা দেশগুলির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন ধরা পড়ছে না।” লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের উপর খলিস্তানপন্থীদের হামলাকে ভারত লঘু করে দেখছে না তার ইঙ্গিত দিয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, “এই বিষয়ে (হামলার বিষয়ে) আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি।”

Advertisement

ঘটনাচক্রে, শুক্রবারই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী ব্রিটেন এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে জানিয়েছিলেন, ভারত আশ্বাস চায় না, চায় উপযুক্ত পদক্ষেপ। দূতাবাসে হামলা চালানোয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জিও জানানো হয় নয়াদিল্লির তরফে। গত রবিবার এক দল উন্মত্ত জনতা খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহের নামে স্লোগান দিয়ে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালান। দূতাবাস থেকে টেনে নামানো হয় ভারতের পতাকা। আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসেও হামলা চালান খলিস্তানি সমর্থকরা। লন্ডনের ঘটনার পরই ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূতকে জরুরি তলব করা হয়। ওই ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয় তার কাছে। ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। তবে আমেরিকার বিরুদ্ধে এখনও সে ভাবে সুর চড়ায়নি ভারত। তবে কঠোর বার্তা ব্রিটেনের পাশাপাশি আমেরিকার উদ্দেশেও দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই হামলার কিছু দিন পরেই যানজটের কারণ দেখিয়ে ভারতের ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনার কিছু সময় পরেই লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করে ব্রিটিশ প্রশাসন। ভারতের ‘নীরব বার্তা’র পরেই ব্রিটেনের এই সক্রিয়তা কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন দূতাবাসের নিরাপত্তার দিকটি অন্য মন্ত্রক দেখে। তাই তাদের এই বিষয়ে কিছু বলার নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement