তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। ফাইল চিত্র।
তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে এ বার দমকলে চাকরি করে দেওয়ার নাম করেও টাকা তোলার অভিযোগ উঠল।
বিজেপির তরুণজ্যোতি তিওয়ারি শুক্রবার ফের একটি অডিয়ো ক্লিপ (সেটির সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) প্রকাশ্যে এনে দাবি করেন, তাতে টেলিফোনে তাপসকে দমকল দফতরে চাকরির আশ্বাস দিয়ে টাকা চাইতে শোনা যাচ্ছে। দু’দিন আগে, তিনি অন্য একটি অডিয়ো ক্লিপ টুইট করে দাবি করেছিলেন, স্কুলে চাকরি জন্য টাকার ব্যাপারে বিধায়ককে ফোনে কথাবার্তা বলতে শোনা যাচ্ছে। তাপস অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ‘চক্রান্ত’ হচ্ছে। দমকলমন্ত্রীও জানান, দমকলে চাকরি পিএসসি-র মাধ্যমেই হয়।
নদিয়ার ওই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরকারি দফতর ও স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ নতুন নয়। রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা তা নিয়ে তদন্ত করছে। প্রবীর কয়াল নামে তাপসের এক ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতারও করা হয়।
নদিয়া জেলা উত্তর বিজেপি কিসান মোর্চার সম্পাদক মহীতোষ মণ্ডলের বলেন, “অডিয়ো ক্লিপে যে দু’জনের কথা শোনা যাচ্ছে তাদের এক জন তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা, অন্য জন চাঁদেরঘাট পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা তুহিন মণ্ডল।” তা অস্বীকার করে তুহিন বলেন, “ওই গলা আমার নয়। এ রকম কোনও ঘটনাও ঘটেনি।” এ দিনও তাপস দাবি করেন, “ওই গলা আমার নয়। এ রকম কোনও কথাও হয়নি। বিজেপি এবং তৃণমূলেরই নদিয়া জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা চক্রান্ত করে এ সব কাজ করেছে।” টিনা পাল্টা বলেন, “কেউ যদি চক্রান্ত করে থাকে, উনি কেন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?” বিজেপির নদিয়া উত্তর জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, “বিধায়কের দলের লোকেরাই তো মুখ খুলছেন! আর উনি এতে আমাদের চক্রান্ত দেখছেন?” রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “দমকলে চাকরি পিএসসি-র মাধ্যমেই হয়।”