মহারাষ্ট্রের শিন্ডেসেনা নেতার পুত্র মিহির শাহ। ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বইয়ের ওরলিতে শিন্ডেসেনা নেতা রাজেশ শাহের পুত্র মিহির শাহের বিএমডব্লিউ গাড়ি মহিলাকে দু’বার পিষে দিয়েছিল। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তেমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, গাড়ির চাকার সঙ্গে আটকে থাকা মহিলাকে প্রায় দেড় কিলোমিটার হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মিহির। পরে চালকের সঙ্গে আসন বদল করে নেন। আদালতে এই তথ্য জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মিহির এখনও পলাতক। তাঁর বাবা তথা শিন্ডেসেনা নেতা রাজেশকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার রাতেই তিনি জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোরে ঠিক কী কী ঘটেছিল, তা বিশদে জানতে এলাকার একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তারা খতিয়ে দেখেছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, প্রথমে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিএমডব্লিউ গাড়িটি স্কুটিতে ধাক্কা মারে। মহিলা স্কুটি থেকে ছিটকে পড়ে যান। গাড়ির চাকায় আটকে যান তিনি। সেই অবস্থাতেই তাঁকে টানতে টানতে দেড় কিলোমিটার নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর গাড়িটি দাঁড়িয়ে যায়। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে ওই সময় ছিলেন মিহির। ধাক্কা মারার পর তিনি স্টিয়ারিং ছেড়ে চালকের পাশেরআসনে গিয়ে বসেছিলেন। এর পর চালক গাড়িটিকে কিছুটা পিছনে নিয়ে গিয়ে আবার মহিলাকে পিষে দেন। পর পর দু’বার চাকা চলে যায় মহিলার শরীরের উপর দিয়ে। এর পর গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যান মিহির। কিছু দূরে গাড়িটি আবার দাঁড় করানো হয়। এ বার গাড়ি ফেলে পালান তিনি এবং গাড়ির চালক।
ঘটনার পর থেকে মিহির পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে। তদন্তকারীরা রাজেশ এবং তাঁদের চালককে সোমবার আদালতে হাজির করিয়েছিলেন। ১৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন রাজেশ। ঘাতক গাড়িটি তাঁর নামেই নথিভুক্ত ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত অসহযোগিতা করার অভিযোগও ছিল।
আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, স্কুটিতে ধাক্কা দেওয়ার পরেই বাবাকে ফোন করেছিলেন মিহির। গোটা ঘটনাটি বিশদে তাঁকে জানানো হয়। এর পর বাবার পরামর্শেই তিনি চালকের সঙ্গে জায়গা বদলে নেন। অভিযোগ, শিন্ডেসেনা নেতা পুত্রকে বাঁচাতে গোটা ঘটনার দোষ চালকের ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী পুত্রকে পরামর্শও দিয়েছিলেন। এই ঘটনাই স্মৃতি উস্কে দিয়েছে পুণের পোর্শেকাণ্ডের। ওই ঘটনাতেও দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারকে চাপা দেওয়ার পর অভিযুক্ত কিশোর গাড়ির আসন বদল করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে।