মণিপুরে একটি স্কুলের বাইরে গুলি চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। —ফাইল চিত্র।
গোষ্ঠীসংঘর্ষে তপ্ত মণিপুরে গত কয়েক মাস পর বুধবারই স্কুল খুলেছিল। বৃহস্পতিবার সেই স্কুলের বাইরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হলেন এক মহিলা। পশ্চিম ইম্ফল জেলায় একটি স্কুলের বাইরে এক মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। ওই মহিলার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
গত দু’মাস ধরে মণিপুরে গোষ্ঠীসংঘর্ষে একশোরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী রঞ্জন সিংহের বাড়িতে পেট্রল বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। মণিপুর সরকারের একমাত্র মহিলা মন্ত্রী কাংপোকপি কেন্দ্রের বিধায়ক নেমচা কিগপেনের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য, কারিগরি এবং ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী এল সুসীন্দ্র মেইতেইয়ের বাড়ি সংলগ্ন একটি গুদামঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। অশান্তির মধ্যেই সে রাজ্যে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। বিজেপি শাসিত মণিপুরে অশান্তি নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। সে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন নীরব, সেই প্রশ্নও তুলেছে বিরোধীরা। মণিপুর নিয়ে দিল্লিতে সর্বদল বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সঙ্গেও বৈঠক হয় শাহের। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মণিপুরে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু এখনও অশান্ত সেই রাজ্য।
রাজ্যে সংঘর্ষের ঘটনার মধ্যেই গত সোমবার স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। সেই মতো বুধবার প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলে। প্রথম দিন পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খুবই কম ছিল। যদিও স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনেই আবার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল মণিপুরে।