বন্দুক হাতে থানায় যাচ্ছেন মহিলা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
পারিবারিক বিবাদ। স্বামী এবং ভাসুরকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন এক মহিলা। যে দেশি পিস্তল দিয়ে খুন করেছেন, থানায় জমা করেছেন সেটিও। মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়িনীর ঘটনা। বাদনগরের ইঙ্গোরিয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মহিলা।
অভিযুক্তের নাম সবিতা কুমারিয়া। তাঁর বয়স ৪১ বছর। বছরের প্রথম দিন, সোমবার সকালে তিনি বন্দুক হাতে থানায় যান। গিয়ে জানান, স্বামী রাধেশ্যাম (৪৩) এবং তাঁর দাদা ধীরজ (৪৫)-কে গুলি করেছেন তিনি। বন্দুক হাতে তাঁর থানায় যাওয়ার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। থানার পুলিশ অফিসার চন্দ্রিকা সিংহ যাদব জানিয়েছেন, রাধেশ্যামের পাশেই ধীরজের বাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে রাধেশ্যামের। ধীরজকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিজের বাড়ির সামনের উঠোনে পুজো করছিলেন ধীরজ। সবিতা প্রথমে সেখানে গিয়ে তাঁর মাথা এবং কাঁধ লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এর পর বাড়িতে ফিরে এসে ঘুমন্ত স্বামীর কান লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। জল্পনা শুরু হয়, ধীরজের স্ত্রী, ছেলেকেও গুলি করেছেন সবিতা। যদিও পুলিশের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। পুলিশ আধিকারিক চন্দ্রিকা জানিয়েছেন, শূন্যেও গুলি ছুড়েছিলেন সবিতা। কেন গুলি করেছিলেন, সেই নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। জেরা করা হচ্ছে সবিতাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধেশ্যাম মদ্যপ ছিলেন। ঝামেলা হলে স্ত্রীর বিরুদ্ধে গিয়ে দাদা ধীরজের কাছে অভিযোগ জানাতেন এবং আশ্রয় নিতেন। ধীরজের বেআইনি অস্ত্র চোরাচালানের কারবার ছিল। সবিতা এবং রাধেশ্যামের তিন সন্তানও রয়েছে।